স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা ২৬ নং ওয়ার্ড ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় লার্ভা পাওয়া যায়। আর সোমবার ২৬ নং ওয়ার্ডের ৬টি জায়গায় ও রাগীব রাবেয়া হাসপাতাল এলাকায় পাওয়া গেছে লার্ভা। সিলেটে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে তাই বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করছে। তবে লার্ভা পাওয়ামাত্র ধ্বংস করছে আমাদের টিম। বৃষ্টি চলাকালীন এমন অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় সিলেটে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কম। তাছাড়া এখন পর্যন্ত এ রোগে কারও মৃত্যু হয়নি এখানে। এখন যারা চিকিৎসাধীন তাদের শারীরিক অবস্থাও উন্নতির দিকে।
লার্ভা পাওয়ার বিষয়ে ডা. জন্মেজয় দত্ত শংকর বলেন, জেলার মধ্যে কয়েকটি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। তবে এই মুহুর্তে চ‚ড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে, সিলেট জুড়ে বাড়াচ্ছে এডিস মশার কামড়ে অক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। একই সাথে মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাচ্ছে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার লার্ভা। মঙ্গলবার সিলেটে নতুন করে আরো ৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে দুইজন সিলেট ও তিনজন হবিগঞ্জের বাসিন্দা। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীল সংখ্যা ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, সিলেট মহানগর ও জেলার মধ্যে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৯৫ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯ জন। তাদের মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ১২, মহানগরের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ ও জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
অপরদিকে, মহানগরের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সিটি করপোরেশনের টিম নিয়মিতভাবে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান চালাচ্ছে। সম্প্রতি মহানগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের ২টি স্থানে ও এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনের কয়েকটি স্থানে লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া সোমবার ১০ জুলাই ২৬ নং ওয়ার্ডের ৬টি স্থানে ও রাগীব-রাবেয়া হাসপাতাল এলাকায় একাধিক স্থানে পাওয়া গেছে এডিস মশার লার্ভা।