কাজির বাজার ডেস্ক
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিতরণ শুরু হচ্ছে আগামী ১৩ জুলাই। দুবাইয়ে ইস্যু করা প্রায় একশ প্রবাসীকে এনআইডি কার্ড দেওয়া হবে। ওইদিন নির্বাচন কমিশনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এর মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়ার সাড়ে তিন বছর পর আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রথমবারের মতো প্রবাসে থেকে এনআইডি সেবা পাবেন।
এ উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের নেতৃত্বে ইসি সচিবালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি টিম সংযুক্ত আরব আমিরাত আসবে বলে জানা গেছে। দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে দেখা যায়, পুরোদমে চালু হয়েছে প্রবাসীদের নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া। কনস্যুলেটে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রায় ৫শ প্রবাসী স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। কনস্যুলেটে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্মার্টকার্ড সংক্রান্ত নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিতে পারছেন প্রবাসীরা।
এদিকে যারা অনলাইনে আবেদন করেছেন তাদের আবেদন শেষে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে এসে দিতে হচ্ছে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের আইরিশ স্ক্যান। শুধু নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নয়, যেসব প্রবাসীর পেপারে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তারাও চাইলে স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগও রেখেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট।
এদিকে প্রতিদিন বাড়ছে আবেদনের সংখ্যা। এই সেবা পেয়ে প্রবাসীরাও সন্তুষ্ট বলছেন কনস্যুলেট কর্মকর্তারা। পরিবার নিয়ে এনআইডি করতে আসা প্রবাসী সাইফুর রহমান বলেন, এনআইডি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে আছি। ঢাকায় গিয়ে এটি করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অনেক দিনের আকাক্সক্ষা পূরণ হয়েছে। বিশ্বায়নের যুগে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দুবাই কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। কারণ এটি তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। প্রবাসে থেকে তারা নির্বিঘেœ রেজিস্ট্রেশন বা এনআইডি কার্ড পাবে এই আশা ও প্রত্যাশা তাদের। এ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। শুধু নতুন এনআইডি নয়, প্রবাসীরা চাইলে পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েও স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অধিক যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন থেকে স্মার্টকার্ডের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই কনস্যুলেট। এরপর চলতি মাসের শুরু থেকে প্রশিক্ষিত লোকবল দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করে এই দুই মিশন।