নৌকায় পাল তুললেন আনোয়ারুজ্জামান

31
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী

সিন্টু রঞ্জন চন্দ

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় সিলেট জালালাবাদ গ্যাস অডিটরিয়ামে নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনোয়ারুজ্জামান এবারই প্রথম সিলেটের মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
ঘোষিত ফলাফলে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম (বাবুল) লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। ৬৯ হাজার ১২৯ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন আনোয়ারুজ্জামান।
নির্বাচনে মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাসগাড়ি প্রতীকের মোঃ শাহজাহান মিয়া পেয়েছেন ২৯ হাজার ৬৮৮ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৯৪ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জহিরুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ছালাহ উদ্দিন রিমন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৪৮ ভোট, আবদুল হানিফ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৯৬ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডের ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও তাদের সঙ্গী দলগুলো সিটি নির্বাচন বর্জন করে। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলন সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়।
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে সিইসি এই তথ্য জানান। সিইসি বলেছেন, সিলেট সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। আপনারা নিশ্চয় জানেন, বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় কিন্তু এবার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোটে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা ছিল। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের যেমন চ্যালেঞ্জ ছিল, তেমনি নির্বাচন কমিশনেরও ছিল। বৈরী আবহাওয়া এবং বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জন করায় এ শঙ্কা প্রকট হয়েছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিত্র অনেকটা ভিন্ন লক্ষ্য করা গেছে। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বিশেষ করে নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সব কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি দেখা গেছে। অনুক‚ল আবহাওয়ার কারণেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে দেখা গেছে ভোটারদের উপস্থিতি। এসব ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে নেপথ্যে কাজ করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। মূলত তারাই ভোট টানতে নানা কৌশলে ভোটারদের আগ্রহী করে তুলেছেন।