বহিরাগতদের সাথে হাতাহাতির জের ধরে
# পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
# গাড়ি ভাঙচুর
# অর্ধশতাধিক আহত
স্টাফ রিপোর্টার
বহিরাগতদের সাথে হাতাহাতির জেরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয়রা। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এলাকাবাসীর সাথে শিক্ষার্থীদের এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বহিরাগতদের ঢুকতে না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান বহিরাগত ও স্থানীয় কয়েকজন। এক পর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত তোলেন তারা।
সেখানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষ নেন। একপর্যায়ে শাবি শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন উভয়পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। শাবি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এক পর্যায়ে আখালিয়া এলাকাবাসী ও শাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টা খানেক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন, দোকান ও যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে রয়েছে। আমরা পরবর্তীতে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করে এর সমাধান করবো।
জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম রুকন জানান, শুক্রবার বিকেলে বহিরাগতদের সাথে হাতাহাতির জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয়রা। এসময় এলাকাবাসী ও শাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।