সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের ওসমানীনগরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় হামলা ও মামলা দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদ নেতাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার চেয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওসমানীনগরের মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মো. আব্দুর রহিম। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ওসমানীনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান নাজলু’র দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার কারণে আমার উপর তিনি হামলা করেছেন এবং মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়েছেন। ‘আফজালুর প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাÐ চালিয়ে আসছেন। তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে একের পর এক অন্যায় করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ২২ মে বাড়ি থেকে বের হয়ে সিলেট নগরেরর কাজিরবাজার ব্রীজ দিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে শহরে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আফজালুর রহমান নাজলু ও তার সহযোগী মতিউর এবং সুমনসহ অজ্ঞাতনামা তাদের আরো ৭/৮জন সহযোগী আমার গাড়ির গতিরোধ করে আটকে দেয়। নাজলু আমাকে প্রাণে মারতে পকেটে থাকা অবৈধ পিস্তল বের করে গুলি করে। এতে আমার ডান পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন প্রাণে বাঁচতে চিৎকার করায় নাজলুর সহযোগী মতিউর তার হাতে থাকা ধারালো ডেগার দিয়ে আমার গলায় আঘাত করলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমার পিঠের ডান দিকে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। তখন এ সময় নাজলুর আরেক সহযোগী সুমন সূত্রধর তার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে আঘাত করলে পিঠের বাম পাশে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।’
রহিম আরও বলেন, ‘এ সময় তাদের আরেক সহযেগী যাকে আমি মামলার স্বাক্ষী রেখেছি নাবেদুর রহমানও আমাকে মারধর করে। তখন আমার সিএনজি চালক কদ্দুছ মিয়াসহ পথচারী লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাকে ভর্তি করেন।’
এ ঘটনায় আদালতে আফজালুর রহমান নাজলুকে প্রধান আসামি এবং তার সহযোগী মতিউর ও সুমন সূত্রধরের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছি। আসামীরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
আব্দুর রহিম অভিযোগ করেন, ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী আফজালুর রহমান নাজলু এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে এখন তিনি পুরোটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা যেকোন সময় তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। তাদের অব্যাহত হুমকি এবং হামলা মামলার ভয়ে তিনি লুকিয়ে জীবনযাপন করছেন। তাই, জীবনের নিরাপত্তা ও নাজলু বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতম মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।