১৯ জুন মধ্যরাত থেকে প্রচার-প্রচারণা ও সভা-সমাবেশ বন্ধ

3

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে মিছিল-মিটিং আর প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পাড়া-মহল্লা, অলিগলি, সর্বত্রই ছেয়ে গেছে পোস্টারে, দিনভর চলছে মাইকিং। তবে ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হবে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা। অর্থাৎ ১৯ জুন মধ্যরাত ১২টার পর প্রার্থীরা আর কোনো সভা-সমাবেশ, নির্বাচনী গণসংযোগ, শোভাযাত্রা, মিছিল করতে পারবেন না। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আইপিও) ৭৮ ধারা অনুযায়ী ভোটের পর আরও দুদিনও একই নিয়ম বলবৎ থাকবে। ভোট গ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘন্টা এবং পরবতী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত সিসিকের নির্বাচনী এলাকায় সকল ধরনের সভা-সমাবেশ, নির্বাচনী গণসংযোগ, শোভাযাত্রা, মিছিল বন্ধ থাকবে। সিলিট অঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ১৯ জুন মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৩ জুন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় কোন ব্যক্তি জনসভা, মিছিল, শোভাযাত্রা, অনুষ্ঠান আহবান বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না। কেউ এ বিধান লঙ্ঘন করলে ৬ মাস থেকে ৭ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে চ‚ড়ান্ত লড়াইয়ে মোট ৮ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন, তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম দলীয় প্রতীক (গোলাপফুল), স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) এবং মো. শাহজাহান মিয়া (বাস গাড়ি), মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)। আর কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটর রয়েছেন ৬ জন। ২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ।