প্রতিপক্ষকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন

6

শান্তিগঞ্জ সংবাদদাতা

শান্তিগঞ্জ উপজেলার ইশাকপুর গ্রামে দুই লন্ডন প্রবাসীর মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইশাকপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিন তেরাই নামে এক যুবক প্রতিপক্ষেকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশ ডেকে নিজেই ফেঁসে গেলেন। আটকৃত যুবকের নাম বুরহান উদ্দিন তেরাই (৪৫)। তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের ইশাকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে বুরহান উদ্দিন তেরাইকে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে থানায় সংবাদ আসে শান্তিগঞ্জ থানা এলাকার ইশাকপুর গ্রামে জুনু মিয়া গোষ্ঠির বুরহান উদ্দিন তেরাই তার বাড়ীতে অপর গোষ্ঠি যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল বাহার গোষ্ঠির জামাল উদ্দিনকে অস্ত্র সহ আটক করে রাখা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ইশাকপুর সাকিনে বুধবার রাতে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযান কালে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ চৌধুরী, উপ পুলিশ পরিদর্শক অনুপম দেবনাথ, মোহন রায়, মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সরা ইশাকপুর সাকিনের জুনু মিয়া গোষ্ঠির বুরহান উদ্দিন তেরাই এর বাড়ীতে গেলে সংবাদদাতা বুরহান উদ্দিন তেরাই থানা পুলিশকে আটক জামাল উদ্দিনের কাছ একটি দেশীয় পাইপ গান ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে বের করে দেয়। এসময় বুরহান উদ্দিন তেরাই তাহার বাড়ীতে বেঁধে রাখা প্রতিপক্ষের জামাল উদ্দিনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তখন সন্দেহের বসে থানা পুলিশ সংবাদদাতা বুরহান উদ্দিন তেরাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই তিনি অসংগতিপূর্ণ কথা শুরু করেন। এক পর্যায়ে বুরহান উদ্দিন তেরাই (৪১) থানা পুলিশের কাছে স্বীকার করে পূর্ব বিরোধের কারণে জামাল উদ্দিনকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী বলেন, জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা সহ আগে থেকেই দেশীয় তৈরী পাইপগান নিজ হেফাজতে রাখায় বুরহান উদ্দিন তেরাইসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে শান্তিগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।