বিশ্বনাথ সংবাদদাতা
ট্রান্সফরমার চুরির মালামালসহ ৩ চোরকে আটক করেছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের আতাপুর গ্রামের জনৈক মঈনুল ইসলামের বসতবাড়ির পিছনে থাকা ট্রান্সফরমার গত ২৫ মে দিবাগত রাতে চুরি হওয়ায় ঘটনায় আটককৃত ওই ৩ জনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে শনিবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১’র বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম ছাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় দায়ের করা মামলা নং ১১ (২৭-৫-২০২৩)।
মামলায় আটককৃত হলেন- হবিগঞ্জের সদর থানার গোপালপুর গ্রামের (বর্তমান সিলেটের বিশ্বনাথ থানার পশ্চিম চান্দশিরকাপন গ্রাম) আব্দুল আওয়ালের পুত্র আব্দুল করিম (২০) এবং একই জেলার আজমীরিগঞ্জ থানার পশ্চিমভাগ গ্রামের (বর্তমান সিলেটের বিশ্বনাথ থানার রামপাশা বাজার) মৃত হুছন আলীর পুত্র আব্দুল আলীম (৩৫) ও একই গ্রামের (বর্তমান সিলেটের বিশ্বনাথ থানার কালীগঞ্জ বাজারস্থ সাবেক মেম্বার দবির মিয়ার বাসা) মোস্তফা মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২৫ মে দিবাগত রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের আতাপুর গ্রামের জনৈক মঈনুল ইসলামের বসতবাড়ির পিছনে থাকা প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। চুরির পরদিন শুক্রবার ২৬ মে বিশ্বনাথ থানার পুলিশের একটি দল পশ্চিম চান্দশিরকাপন গ্রামস্থ আব্দুল মুমিনের ভাঙ্গারী দোকান ও কালীগঞ্জ বাজারস্থ সোহেল মিয়ার ভাঙ্গারীর দোকান থেকে চুরি হওয়া ট্রান্সফরমারের তামার তারসহ মালামাল জব্দ করার পাশাপাশি ৩ জনকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জনৈক মঈনুল ইসলামের বসতবাড়ির পিছন থেকে ট্রান্সফরমার চুরির সত্যতা স্বীকার করে থানা পুলিশকে জানায়, ওই ট্রান্সফরমার চুরির সাথে অভিযুক্ত আব্দুল মুমিন ও জুয়েল মিয়াসহ আরোও ৭/৮ জন জড়িত রয়েছেন।
ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের ও ৩ জনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করে তদন্তকারী কর্মকর্তা অমিত সিংহ জানান, চুরির সাথে যারা জড়িত আছে দ্রæত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।