কাজির বাজার ডেস্ক
২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন হয়েছে। এরপর দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবার নিয়ে জীবন ধারণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও ৯ম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীরা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। এ সময় তারা বলেন, সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর গত আট বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ওষুধ, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শতভাগ মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি কর্মচারীরা অর্থ কষ্টে জীবন যাপন করছেন। গত আট বছরে বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে মোট ৪০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হলেও অবশিষ্ট ঘাটতি পূরণের জন্য ৬০ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন বেতন বৃদ্ধি ও ৯ম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারী সমিতির মহাসচিব ছালজার রহমান বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য নিরসনকল্পে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়বহিভর্‚ত দপ্তর, প্রতিষ্ঠান, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের দপ্তরে কর্মরত প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, স্টেনোগ্রাফার, কম্পিউটার অপারেটরসহ সমমানের সমমর্যাদার কর্মচারীদের পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও বেতন স্কেল, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বপদে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল, ডিপ্লোমা নার্সদের ন্যায় সমশিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা হেলথ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান ও বেতন স্কেল প্রদান করতে হবে। এ সময় সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন উর রশীদ, কার্যকরী সভাপতি মো. নূরুন্নবী, মো. রায়হান উদ্দিন চৌধুরী, মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।