ফোর্বসের তালিকায় এবার জায়গা করে নিলেন ৭ বাংলাদেশি

7

 

কাজির বাজার ডেস্ক

বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস প্রতিবছর সম্ভাবনাময় তরুণ সংগঠক, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকের তালিকা প্রকাশ করে থাকে।
বৃহস্পতিবার ফোর্বসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় এ বছরের ৩০ বছরের কম বয়সি এশীয় তরুণদের তালিকা। ১০টি ক্যাটাগরিতে ৩০ জন করে মোট ৩০০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন সাত বাংলাদেশি। এবার মিডিয়া, মার্কেটিং, সামাজিক প্রভাব ও কনজ্যুমার টেকনোলজিতে ক্যাটাগরিতে সাতজন বাংলাদেশি ‘থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া’ লিস্টে রয়েছেন। তালিকার মিডিয়া, মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন ক্যাটাগরিতে মার্কোপলো ডটএআই’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা রুবাইয়াত ফারহান ও তাসফিয়া তাসবিন রয়েছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে থাকে মার্কোপলো ডটএআই। ২০২২ সালে কোম্পানিটি ভেনচার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ‘সিঙ্গাপুর ভিসি’ থেকে সাত লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পায়।
সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট বা সামাজিক প্রভাব ক্যাটাগরিতে রয়েছেন বাংলাদেশের রিল্যাক্সি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা জাহ্নবী রহমান।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশি তরুণদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সহায়তা দিয়ে থাকে রিল্যাক্সি। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ডাউনলোড দিয়েছে। একই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের আরও দুই তরুণ রয়েছেন, তারা হলেন টার্টল ভেঞ্চারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার সায়েফ ও সারাবান তাহুরা।
স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা করে থাকে টার্টল ভেঞ্চার। ২০১৮ সাল থেকে কাজ শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে ৯০টি উদ্যোগের সঙ্গে কাজ করেছে এবং এদেরকে দেড় কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।
কনজ্যুমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে যানবাহনের প্রযুক্তিসেবা প্রতিষ্ঠান যাত্রী’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা আজিজ আরমানও এই তালিকায় রয়েছেন।
গত বছর ঢাকা বাস মালিক সমিতি ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু করতে সম্মত হয় এবং যাত্রীর মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৬৫০টি বাসে ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়।
২০২১ সালে কোম্পানিটি ১২ লাখ ডলার বিনিয়োগ পায়। রিফ্লেক্ট ভেঞ্চারস, ব্রেইন-টু-ফ্রি ভেঞ্চারস ও এসবিকে টেক ভেঞ্চারের মতো প্রতিষ্ঠান এতে বিনিয়োগ করে। এদের কাছ থেকে মোট সাড়ে ৫২ লাখ ডলার বিনিয়োগ পাওয়ার কথা রয়েছে।
অ্যাগ্রোশিফট টেকনোলজিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা দীপ্ত সাহাও কনজ্যুমার টেকনলোজি ক্যাটাগরিতে ফোর্বসের এবারের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া’ তালিকায় রয়েছেন। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফসল এনে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে গত বছর চালু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি।