কাজির বাজার ডেস্ক
সরকারের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এককভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার জাতীয় পার্টির (জাপা) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এমন মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, ‘আমরাও স্বীকার করেছি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সরকার বিদ্যমান থাকবে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা অবশ্যই প্রয়োজন হবে। আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন এককভাবে কখনোই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না, যদি সংশ্লিষ্ট সবাই প্রতিদ্ব›দ্বী দলগুলো এবং একই সঙ্গে সরকারের যে প্রশাসন, পুলিশ আন্তরিকভাবে সহযোগিতা না করে। এতে নির্বাচন কমিশনের যে দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা তা সীমিত হয়ে পড়তে পারে। এটা আমরা উনাদের বলেছি।’ এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ পাননি জানিয়ে সিইসি বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে সেটি তো এখনই বলতে পারব না। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সদিচ্ছা থাকবে বলে আশা করি।’
নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গকারীদের শাস্তির আওতায় আনার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ’লোম বাছতে গিয়ে যদি কম্বল উজাড় করে ফেলি সেটা খুব বাস্তব হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইভিএমে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, এতে উনারা খুশি। তবে এতে অনেক কিছু আছে বলেছে, আমরা তা মেনে নিইনি। আমরা বলেছি, তাহলে ১৮ সালের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। কারণ সেটা ইভিএমে নয়, ব্যালটে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যালটে নির্বাচন হলে কোনো অনিয়ম হবে না। যেমন ১৮ সালেও হয়নি, আগামীতেও হবে না।’
সরকারি দলের প্রার্থীরাই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বেশি?এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ পাইনি। এটি হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের যে সহায়তা এখন পর্যন্ত যা পেয়েছি উনারা যদি একটা নিউট্রাল অবস্থানে থাকেন তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন ভালোভাবে করা সম্ভব হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের তরফ থেকে সরকারের ওপর চাপটা থাকবে। নেগেটিভ কোনো বিষয় যদি আমরা দেখি যে ঐকমত্য হয়েছে, তাহলে আমরা বিষয়টি দেখব।’