কাজির বাজার ডেস্ক
পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত। মহিমান্বিত এ রাত মুমিন মুসলমানের জন্য আল্লাহর দেওয়া সেরা নেয়ামত। যদিও শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলো লাইলাতুল কদর তালাশ করার দিকনির্দেশনা এসেছে, তথাপিও অধিকাংশ মুসলিম ২৬ রমজান দিবাগত রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’ পাওয়ার আশায় যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে থাকেন। সে হিসেবে দেশব্যাপি এ বছর ২৬ রমজান মোতাবেক ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পালিত হবে কাক্সিক্ষত পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’।
২৭ রমজানের প্রস্তুতির তারাবিহ নামাজ পড়ার পর থেকে মুমিন মুসলমান সারারাত জেগে লাইলাতুল কদর পেতে ইবাদত-বন্দেগিতে রত থাকে। মর্যাদার এ রাতে রাসুলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য উপহার স্বরূপ পবিত্র কোরআনের বাণী সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ নাজিল হয়। আল্লাহ বলেন-
অর্থ : (হে রাসুল! আপনি) পড়ুন! আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। (সুরা আলাক : আয়াত ১-৫)। মহিমান্বিত মর্যাদার এ রাতের বর্ণনায় আল্লাহ তাআলা স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন। আল্লাহ বলেন-’আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে। শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন? শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ‘ (সুরা কদর)
সে কারণেই মুসলিম উম্মাহ হাজার মাসের সেরা রাত লাইলাতুল কদর পেতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ইবাদত বন্দেগিতে রত থাকবে। তারাবিহ, নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, সালাতুল তাসবিহ, জিকির-আজকার, দোয়া-দরূদ পাঠ করবে। গোনাহ মাফ ও রহমত লাভে অস্রু বিসর্জন দেবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র লাইলাতুল কদর পেতে শেষ দশকের প্রত্যেক বেজোড় রাতে বেশিবেশি ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।