ছাতক সংবাদদাতা
ছাতকে চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গী গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১০জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে জমিতে বোরো ধান কাটা নিয়ে কামরাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলতাব আলীর পুত্র সাবেক মেম্বার কয়েছ মিয়া ও একই গ্রামের মৃত ইছবর আলীর পুত্র ছোয়াব আলী পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত জুবেল মিয়া (১৪), বদরুজ্জামান (৬০), জাহেদ হোসেন (২০), ছায়া বেগম (৪০), আব্দুল আমিন (৩২), কদর আলী (৩৮), খিজির আহমদ (২১), আব্দুল মন্নান(৩৫), মামুন মিয়া (১৮), আতিক মিয়া(৩০) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া আলী হোসেন (২৫), আলা উদ্দিন (৫০), সুলতান মিয়া (২১), আলী আমজাদ (২৮), হোসাইন আহমদ (৩০), বিলাল আহমদ (৩৫), হুমায়ুন আহমদ (২৮), মঈন উদ্দিন (৩২), কামাল উদ্দিন (২৭) সহ আহতদের কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। তাদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রমজান মাসের প্রথম দিকে ওই দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পক্ষে-বিপক্ষে থানা ও আদালতে রয়েছে একাধিক মামলা।
শনিবার পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাবেক মেম্বার কয়েছ মিয়ার জমিতে বোরো ধান কাটতে গেলে প্রতিপক্ষরা এতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী দু’পক্ষের সংঘর্ষের দেশীয় অস্ত্র ও ব্যাপক ইট পাটকেলের ব্যবহার করা হয়েছে।
জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আহমেদ উল্লাহ ভুঁইয়া জানান, সংঘর্ষের পর কৈতক হাসপাতালে এসে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির জানান, সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ দ্রæত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।