পহেলা বৈশাখ আজ

32

কাজির বাজার ডেস্ক
আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি ছিল গতকাল। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি। আবার বাংলা বর্ষের শেষ দিনও ছিল গতকাল
আজ শুক্রবার পয়লা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গøানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহŸান জানায় বাঙালি। পয়লা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপম-ুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়। অন্য দিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রæটি ও ব্যর্থতার গøানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ।
আজ পহেলা বৈশাখে সিলেটসহ সারাদেশ বর্ণিল উৎসবে মাতবে। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে।
বাঙালির বড় শক্তি হচ্ছে তার ভাষা, তার সংস্কৃতি। পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে নতুনভাবে পথ চলার সহস যোগায়। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য বাংলা নতুন বর্ষকে বরণ করতে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রæতি-সিলেট প্রতিবারের মতো এবারো আয়োজন করেছে ‘শ্রæতি বর্ষবরণ উৎসব-১৪৩০ বাংলা’। পহেলা বৈশাখ ১৪৩০, ১৪ এপ্রিল শুক্রবার বøুবার্ড স্কুল এন্ড কলেজের সুবিদবাজারস্থ প্রাথমিক ক্যাম্পাসে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে এই বর্ষবরণ উৎসব। অর্ধদিবস ব্যাপী আয়োজনে থাকবে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন। এ আয়োজনের প্রথমেই থাকবে সপ্তসুরে আহŸান, থাকবে সম্মেলক পরিবেশনা, একক পরিবেশনা।
সমবেত সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করবেন অনুষ্ঠান আয়োজক শ্রæতি-সিলেট, নৃত্যশৈলী, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ সিলেট, গীতবিতান-বাংলাদেশ, ছন্দনৃত্যালয়, সুরের ভ‚বন, সংগীত নিকেতন, ললিত মঞ্জরী, নৃত্যসুধা, নৃত্যরথ, পাঠশালা প্রমুখ। এতে শ্রæতির পক্ষ থেকে সবার উপস্থিতি কামনা করা হয়েছে।
এদিকে শ্রæতি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে সিলেটে পহেলা বৈশাখকে বরণ করবে। এ লক্ষে সিলেটের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তবে পবিত্র রমজান থাকায় ধর্মীয় ভাবগার্ম্ভিজের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি অনুষ্ঠান পালিত হবে। এছাড়া সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে।