কাজির বাজার ডেস্ক
দেশের চ‚ড়ান্ত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। পিইসি (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) জরিপ পরিচালনা করে চ‚ড়ান্ত এই জনসংখ্যা ঘোষণা করা হয়েছে। এই মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ পল্লিতে (গ্রামে) এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের গণনা করা মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। পরে পিইসি জরিপে পাওয়া ২ দশমিক ৭৫ শতাংশের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন নতুন যোগ করে সমন্বয় করা হয় দেশের মোট জনসংখ্যায়।
পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারি শেষের পর গণনাকালে সৃষ্ট কভারেজ ও কনটেন্ট ইরোর নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) অক্টোবর ২০২২ সময়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে শুমারি পরবর্তী যাচাইয়ে পিইসির মাধ্যমে জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর আগে গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে। শুমারি শেষ হওয়ার মাত্র ১ মাসের মধ্যে ২৭ জুলাই তারিখে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের গণনা করা মোট জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষ্যে বিবিএস থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনও ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বিআইডিএস’র ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সাংবাদিকরা। সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ এর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনা করা এবং পিইসির মাধ্যমে সমন্বয় করা মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।