র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় শাবির ১৬ শিক্ষার্থী হল থেকে আজীবন বহিষ্কার

5

শাবি সংবাদদাতা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের ওই ঘটনায় একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭তম সিন্ডিকেট সভায় ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ওই র‌্যাগিং ইস্যুতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে স্ব স্ব হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও বহিষ্কৃতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ র‌্যাগিংয়ের দায়ে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের Ñ মো. পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমদ, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, রামীম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরীফুল ইসলাম, অনিক দাশ, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন এবং মো. আপন মিয়া। গত ২০ ফেব্রæয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একই বিভাগের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী ২২ ফেব্রæয়ারি র‌্যাগিংয়ের রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ জানিয়ে ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছে অভিযোগ দেন।
এরপর গত ২২ ফেব্রæয়ারি র‌্যাগিংয়ের ওই অভিযোগে প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ৫ জন শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ঘটনাটি তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলামকে আহŸায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, এই সিন্ডিকেট সভায় র‌্যাগিংয়ের এ ঘটনায় গত ২২ ফেব্রæয়ারি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সাময়িক বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী মো. আপন মিয়া, মো. আল-আমিন, মো. পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন এবং মো. আশিক হোসেনের ওপর থেকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান।