ওসমানীনগর সংবাদদাতা
ওসমানীনগর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পূর্ণিমা দাস বন্যা (২০) নামে এক কলেজছাত্রী ও ইউসুফ আলী (৩০) নামে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক নিহত হয়েছেন। তাদের একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্যজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
জানা গেছে, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় মৌলভীবাজার জেলা থেকে সিলেটের গোয়ালাবাজার এসে গোয়ালাবাজার সরকারি মহিলা কলেজের সামনে একটি লোকাল বাস থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান কলেজছাত্রী পূর্ণিমা দাস। এতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পূর্ণিমা ওসমানীনগর উপজেলার দত্তগ্রামের বাচ্চু দাসের কন্যা। তিনি মৌলভীবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল দেব। তিনি বলেন, লোকাল বাস থেকে নামতে গিয়ে মেয়েটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জেনেছি। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে সমঝে দেওয়া হবে। অভিযুক্ত বাসটি চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে একই দিন সন্ধ্যায় ওসমানীনগর উপজেলার মোতিয়ারগাঁও কলারাই গ্রামীণ সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা উল্টে চালক ইউসুফ আলী (৩০) নিহত হয়েছেন। নিহতের ইউসুফ মোতিয়ার গাঁওয়ের নুরুল ইসলামের পুত্র। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউসুফ আলী যাত্রী নিয়ে মোতিয়ারগাঁওয়ে যান। যাত্রী নামিয়ে ঘুরানোর সময় রিকশা উল্টে সড়কের পাশে ধানী জমিতে পড়ে মারাত্মক আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসা দেওয়ার পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনায় ইউসুফ আলী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহিন মিয়া।
