কাজিরবাজার ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকা প্রকাশের জন্য একটা নীতিমালা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। কাজ চলছে। এটা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে না।
শনিবার (১৮ ফেব্রæয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপির চলমান পদযাত্রা একটি অকার্যকর এবং অযৌক্তিক আন্দোলন কর্মসূচি। এ কর্মসূচি দিয়ে সরকার পতন করা যায় এমন কোনো নজির নেই।
তিনি আরও বলেন, এই দেশটা এককালে ভারত ছিল। আমাদের বাবা-দাদারা মুসলমানদের জন্য আলাদা একটা রাষ্ট্র পাকিস্তান বানানোর জন্য আন্দোলন করেছিল। বাঙালিদের মধ্যে নেতা ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তারই ঘনিষ্ঠ সহচর শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তিনি ছাত্র নেতা। তাকে সঙ্গে নিয়ে সারা বাংলাদেশে ঘুরে বেড়িয়ে মুসলিম লীগের পক্ষ জনমত গঠন করেছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
১৯৪৬ সালে এই দেশে একটা ভোট হয়েছিল। ইংরেজরা এই দেশ ছাড়ার আগে একটা নির্বাচন দিয়েছিল কার কী দাবি শোনার জন্য। কংগ্রেস বলল আমরা এক ভারত চাই, ভারত ভাগ করা যাবে না। আর মুসলিম লীগ বলল না ভারতকে ভাগ করতে হবে। মুসলমানদের জন্য আলাদা আবাসভ‚মি চাই। আলাদা রাষ্ট্র চাই। বঙ্গবন্ধু মুসলমানদের রাষ্ট্রের জন্য তার নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আন্দোলন করলেন। পাকিস্তান হলো, পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ ভাগ লোক আমরা ছিলাম। ওরা ছিল ৪৪ ভাগ। রাষ্ট্রভাষা করা হলো উর্দুকে। আমাদের ৫৬ ভাগ লোকের মায়ের ভাষার মর্যাদা তারা দেয়নি। সেই জন্য একমাত্র জাতি আমরা, যারা মায়ের ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছি। সেই জন্য এই একুশে ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
এর আগে দুপুরে বাগমারা পৌঁছে শুরুতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। এরপর তিনি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে বাগমারা নিউ মার্কেট মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।