স্টাফ রিপোর্টার :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমসেরনগর কানিহাটি চা বাগানে প্রাইভেট কারের সাথে অটোরিক্সার সংঘর্ষে এক জন নিহত ও ৬ জন এবং হবিগঞ্জে যাত্রীবাহী ম্যাক্সি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আবুল কালাম (২৬) নামে এক শ্রমিক নিহত অন্তত ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় কানিহাটি চা বাগানে প্রাইভেট কারের সাথে অটোরিক্সার সংঘর্ষে এক জন নিহত ও ৬ জন আহত হন। পুলিশ অটোরিক্সা ও প্রাইভেট কার জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানিহাটি চা বাগানের রাস্তার মোড়ে যাত্রী বোঝাই অটোরিক্সাটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। এসময়ে অটোরিক্সা চালক ও যাত্রীরা লুটিয়ে পড়েন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্যামেলিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে পুলিশি সহযোগিতায় আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর বুধুরাম ভৌমিজ (৪২) এর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- কাঞ্চনী মাঝি, অর্জুন মাঝি, সনাতন মাঝি, রানী মাঝি ও কার্তিক মুন্ডা। প্রাইভেট কারের একাংশ ও অটোরিক্সা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামীম আকনজি বলেন, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশা আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জে যাত্রীবাহি ম্যাক্সি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আবুল কালাম (২৬) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ৭ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার দরিয়াপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিক আবুল কালাম হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল উত্তরপাড়া গ্রামের সুলেমান মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি ম্যাক্সিযোগে বেশ কয়েকজন মাটি কাটার শ্রমিক যাত্রীসহ দরিয়াপুর যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন। পথিমধ্যে দরিয়াপুর এলাকার কাছাকাছি পৌছলে ম্যাক্সি গাড়িটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ম্যাক্সিটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে উল্টে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কালামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় ইমন মিয়া (১৭), শাহিন মিয়া (১৯), রিমন মিয়া (৩৫), জুলহাস মিয়া (১৮), সাজিদ মিয়া (৫৫), হিমাংশু ধর (৪৫) ও আবু সালেক (২৯) কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মর্তুজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।