কাজিরবাজার ডেস্ক :
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি শনিবার নিয়মিত বিক্ষোভ করে আসছেন ইসরাইলিরা। অতি ডানপন্থি সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে বিচার বিভাগের সংস্কার নিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন সাধারণ ইসরাইলিরা।
আলজাজিরা জানিয়েছে, পঞ্চম সপ্তাহের মতো হাজার হাজার ইসরাইলি শনিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। রাজধানী তেল আবিবে কমপক্ষে ৫০ হাজার লোক বিক্ষোভ অংশ নেয়। এ সময় তাদের হাতে ইসরাইলের পতাকা ও অন্যান্য ব্যানার ফেস্টুন ছিল। এদিন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা সেøাগান দেয়।
৪৮ বছর বয়সি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ডভ লেভেলিক বলেন, ‘ইসরাইলের ডেমোক্রেসি থেকে অটো-ক্রেসিতে (একনায়কতন্ত্র) রূপান্তরের প্রতিবাদে আজ রাতে আমি রাস্তায় নেমেছি।’ ‘এটি আমাদের জন্য অসম্মানের, এটি হতে দেওয়া যায় না’, বলেন এই বিক্ষোভকারী।
জানুয়ারিতে নতুন করে ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে সরকার নিজের ইচ্ছামতো বিচারক নিয়োগ দিতে পারবে। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাও খর্ব হবে। এতে সরকারের কর্তৃত্বের মুখে অসহায় হয়ে পড়বে বিচারব্যবস্থা। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ ইসরাইলিরা। এর আগে গত ২১ জানুয়ারির বিক্ষোভে শুধু তেল আবিবে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নিয়েছিল।
ইসরাইলের কট্টর ইহুদিবাদী সরকার আরও বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে ইহুদিদের বসতি সম্প্রসারণ করা। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আরব বিশ্বে সমালোচনা ঝড় বইছে। এ ছাড়া ইসরাইল সরকার সামাজিক সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশটির এলজিবিটিকিউ (নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী) সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
হাদার সেগাল নামক ৩৫ বছর বয়সি আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘তারা ইসরাইলের বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চায়, তারা দেশের গণতন্ত্রণকে চুরমার করে দিতে চায়। তাই প্রত্যেক সপ্তাহে সকল ধরনের আবহাওয়া উপেক্ষা করে আমরা এখানে সমবেত হই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের কমপক্ষে ২০টি শহরে এদিন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।