স্পোর্টস ডেস্ক :
নয় ম্যাচ খেলে ঢাকা ডমিনেটর্সের জয় ছিল দুইটি। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষেই সেগুলো।
হারতে হারতে টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়া ঢাকা এবার হারিয়ে দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা ফরচুন বরিশালকে। বিপিএলেও টিকে থাকছে তারা।
শুরুতে বরিশালের ব্যাটাররা বড় রান করতে পারেননি। এরপর ঢাকাকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিথুন। বাকি কাজটুকু করতে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি নাসির হোসেনদের।
মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল। জবাব দিতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ঢাকা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন বরিশালের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও সাইফ হাসান। তাদের ৪২ রানের জুটি ভেঙে দেন আমির হামজা। ৩ চারে ১৯ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন সাইফ। তিনে ব্যাট করতে নেমে সফল হতে পারেননি সাকিব। মাত্র ৫ রানে বিদায় নেন তিনি, মুক্তার আলির বলে বাউন্ডারি লাইনে সাকিবের ক্যাচ ধরেন আরিফুল হক। চারে নামা ইবরাহিম জাদরান ফেরেন ২ রান করে।
ইফতেখার আহমেদ কিছুক্ষণ বিজয়কে সঙ্গ দিলেও স্থায়ী হতে পারেননি। ১০ বলে ১০ রান করে নাসির হোসেনের বলে হন ক্যাচ আউট। ৪২ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিজয়ও। এরপর সালমান হোসাইনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। গড়েন ৪২ রানের জুটি। ঝড়ো ইনিংস খেলা এই অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত উইকেট হারান ৩৯ রানে; ২৭ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে।
ব্যাট করতে থাকা সালমানও বিদায় নেন ১২ বলে ১৪ রান করে। তবে ক্যামিও খেলেন করিম জানাত। তার ৫ বলে ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে মাঝারি সংগ্রহ পায় বরিশাল। ঢাকার পক্ষে জোড়া উইকেট পান আমির হামজা।
জবাব দিতে নেমে ভারতকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মোহাম্মদ মিথুন ও সৌম্য সরকার। ৩৫ বলেই জুটিতে দলকে এনে অর্ধশত রান। আসরে উদ্বোধনী জুটিতে এটি তাদের কেবল দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি জুটি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২২ বলে ৩৭ রান করে সৌম্য সরকার আউট হলে জুটি ভাঙে। করিম জানাতের প্রায় ওয়াইড বল ব্যাটে লাগিয়ে উইকেটের পেছনে বিজয়ের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর মিথুনের সঙ্গী হন আব্দুল্লাহ আল মামুন। জাতীয় ক্রিকেট লিগে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ব্যাটারের বিপিএলে এটিই ছিল প্রথম ম্যাচ। মন্দ করেননি তিনি। টানা দুই ছক্কাসহ ১ চারে ২১ বলে ২৬ রান আসে মামুনের ব্যাট থেকে। মাঝে হাফ সেঞ্চুরি করে ফিরে যান মিথুনও।
৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৪ রান করে সানজামুল ইসলামের বলে স্কুপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন মিথুন। পরে দলকে বাকি পথ টেনে নেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। এই ব্যাটার ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের পক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।