স্পোর্টস ডেস্ক :
শুরুতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেলো মাঝারি সংগ্রহ। এরপর খুলনা টাইগার্স পথ খুঁজে পেয়েও হারালো মাঝে এসে।
শেষদিকে আশা জাগালেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি। শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল, প্রথম ৫ বলে নিলেন ১১ রান। শেষ বলে দরকার ছিল ছক্কা, ব্যর্থ হন ইয়াসির।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৪ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান করেছে খুলনা।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। তাদের ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন দাস। ৫৯ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর ৯ চারে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা লিটন দাস বিদায় নিলেও থিতু হয়ে থাকেন রিজওয়ান। তাকে সঙ্গ দিতে নেমে ব্যাটে ঝড় তোলেন চার্লস। রিজওয়ানের সঙ্গে ৩৮ বলে গড়েন ৬০ রানের জুটি।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে চার্লসকে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ। ২২ বলে ৫ ছক্কায় ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার। শেষদিকে ৪২ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন রিজওয়ান। খুশদিল শাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এনে দেন মাঝারি সংগ্রহ। ৪৭ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। খুশদিল করেন অপরাজিত ১৩ রান।
তাদের জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনা টাইগার্সের। দলীয় ১৪ রানে আউট হন তামিম ইকবাল। শুরুতে নট আউট দিলেও পরে কুমিল্লা রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। এলবিডব্লিউ আউট হওয়ার আগে ২ চারে ১০ বলে ১১ রান করেন তামিম।
তার বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নেন দুই বিদেশি ক্রিকেটার আন্দে বালবারনি ও শাই হোপ। কিন্তু বালবারনি হয়ে যান রান আউট। রিজওয়ানের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের পর এগিয়ে এসে অসাধারণ স্টাম্পিং করেন লিটন। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ৩৮ রান করেন বালবারনি।
এরপর ক্রিজে এসে রীতিমতো ঝড় তুলেন মাহমুদুল হাসান জয়। এই ব্যাটার ২ চার ও ছক্কায় ১৩ বলে ২৬ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন। তারপর ক্রিজে এসে ব্যর্থ হন আজম খান। ২ বলে ১ রান করে তানভীর হাসানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
শুরু থেকেই একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন হোপ। কিন্তু খুলনার আশাকে বড় করতে পারেননি তিনি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ বলে ৩৩ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরত যান নাসিম শাহের বলে বোল্ড হয়ে। তার বিদায়ের পর আশার পুরোটাই ছিল অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বির হাতে।
এই ব্যাটার খেলছিলেনও ভালোই। শেষ ওভারে খুলনার সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৭ রানের। দ্বিতীয় বলে এসে স্ট্রাইক পান রাব্বি। পরের দুই বলে তিনি হাঁকান ছক্কা, এরপর নেন ডাবলস। কিন্তু শেষ বলে ছক্কা হাঁকানো দরকার হলেও ইয়াসির নিতে পারেন কেবল ১ রান। ম্যাচ হারে খুলনা।