সরকারের অত্যাচার যড় বাড়ছে বিএনপির আন্দোলনে মানুষের অংশগ্রহণ ততই বাড়ছে -মির্জা ফখরুল

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের অত্যাচার যত বাড়ছে, বিএনপির আন্দোলনে মানুষের অংশগ্রহণ ততই বাড়ছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমরা ১০ দফা আদায়ের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকই শুধু নন, তিনি এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একজন নেতা। সেজন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে তার এ জন্মদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। যে নেতা আমাদের পথ দেখিয়েছিলেন তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, আসুন একটা মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য, আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের একটা নিরাপদ আবাসস্থল নির্মাণের জন্য, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য আমরা এদিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংগ্রাম করছি। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। ইতোমধ্যে দেখেছেন, আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন পুলিশের গুলিতে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনে। গত ১৫ বছরে আমাদের প্রায় ৬শ’র অধিক নেতা গুম হয়েছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন, ৩৫-৪০ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এখনো কারাগারে আছেন আমাদের শীর্ষ নেতা আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাক মিয়া, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদারসহ প্রায় এক হাজারের ওপরে নেতাকর্মী। আমাদের ১৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবি মামলা হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। এ ১০ দফার মাধ্যমে আমরা সত্যিকার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
এর আগে বেলা ১১টায় বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, কাজী রফিক, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, যুবদলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তফা কামাল, জাহাঙ্গীর আলম, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, উলামা দলের মাওলানা আলমগীর হোসাইন, মাওলানা আবুল হোসেন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।