কাজিরবাজার ডেস্ক :
চলতি বছর হজ্ব পালনে সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘হজ্ব চুক্তি’ হবে আগামী ৯ জানুয়ারি। চুক্তি অনুযায়ী, বহাল হতে পারে আগের কোটা। আগের কোটা বহাল হলে এবার বাংলাদেশ থেকে স্বাভাবিক সময়ের মতো এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্ব পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারবেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, আগামী ৯ জানুয়ারি হজ চুক্তি হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর (ফরিদুল হক খান) নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আগামী ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। প্রতিনিধি দলের আগামী ১৫ জানুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রতিনিধি দলে মন্ত্রণালয়ের হজ্ব অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম এবং হজ্ব এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম থাকবেন। এছাড়া সৌদি আরব থেকে সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হজ্ব কাউন্সিলর, কনসাল জেনারেল প্রতিনিধি দলে যুক্ত হবেন।
হজ্ব চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে ফরিদুল হক খান এবং সৌদি আরবের হজ্ব ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ সই করবেন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি সৌদি আরবের হজ্ব ও ওমরা কনফারেন্স এবং এক্সিবিশনেও অংশ নেবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জনসংখ্যা অনুযায়ী করোনাভাইরাস মহামারির স্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবার সৌদি সরকার বাংলাদেশকে আগের কোটা অনুযায়ী এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্বযাত্রীকে হজ্ব পালনের অনুমতি দিতে পারে। এরমধ্যে ১৫ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে হজ্ব পালন করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী খসড়া চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ্ব পালনের নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার চাইবে বাংলাদেশ।
এবার রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজ্বযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও লাগেজ তল্লাশির কাজ ঢাকায় সম্পন্ন হবে। এজন্য আগে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি হয়। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদ বাংলাদেশ সফরে এলে গত ১৩ নভেম্বর এ চুক্তি হয়।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার মানুষ হজ্ব পালন করেন। ২০২০ সালের জন্য বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে হজ্ব সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়, সেখানে বাংলাদেশিদের হজ্বযাত্রীর কোটা ১০ হাজার বৃদ্ধি করা হয়। ২০২০ সালে এক লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি হজ্বে যেতে পারতেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ থেকে কেউ হজ্ব পালন করতে পারেনি। ২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
করোনা মহামারি কমে এলে গত বছর (২০২২) বিভিন্ন দেশ থেকে কোটা অর্ধেক করে হজ্ব পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসলমান হজ্ব পালন করেন। করোনা মহামারির কারণে গত বছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ্ব পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল।