কাজিরবাজার ডেস্ক :
পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ছয় মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন পেয়েছেন।
তাদের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় আপাতত মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। একই সঙ্গে তাদেরকে কেন স্থায়ী ও নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে হবে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান মনির।
এদিকে জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান মনির।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস, এ জে ভুঁইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, এডভোকেট সগীর হোসেন লিয়নসহ বিএনপিপন্থি শতাধিক আইনজীবী।
বিচারিক (নিম্ন) আদালতে চার দফায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর উচ্চ আদালত হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা।
সোমবার (২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে এ জামিন আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষের অন্যতম জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।