কোম্পানীগঞ্জে চুরি বৃদ্ধি

4

স্টাফ রিপোর্টার :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় প্রতিদিন ঘটছে চুরির ঘটনা। ক্রাশার মিল, দোকানপাট, ঘরবাড়ি, গরু কিংবা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার কিছুই বাদ যাচ্ছে না। এ যেন চুরির হিড়িক পড়েছে কোম্পানীগঞ্জে। যার ফলে চরম আতঙ্কে রয়েছেন উপজেলার ব্যবসায়ী, ক্রাশার মিলের মালিক, গরুর খামারী ও সাধারণ মানুষ। পুলিশ জানিয়েছে নিয়মিত অভিযান দিয়ে চোর ধরা হচ্ছে তবুও থামছে না চুরি।
সাম্প্রতি চোরেরা প্রায় প্রতি রাতে চুরি করছে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। লাইনে বিদ্যুৎ রেখে তারা নিমিষেই নামিয়ে ফেলে ট্রান্সফরমার। চোরেরা তার ভিতর থেকে মূল্যমান জিনিস নিয়ে ফেলে রেখে যায় ট্রান্সফরমারের টুল। এ ভাবে রাষ্ট্রীয় এই মালামালটি প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে। এ নিয়ে থানায় মামলাও করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম। ডিজিএম জানিয়েছেন প্রশিক্ষিত চোর ছাড়া এভাবে ট্রান্সফরমার চুরি করা সম্ভব নয়।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ী গ্রামের ক্রাশার মিল থেকে ২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। ট্রান্সফরমার গুলো বিদ্যুতের খুটি থেকে নামিয়ে তার ভিতর থেকে সকল মালামান নিয়ে যায় চোরেরা। গত ২২ ডিসেম্বর ভাঙ্গতি মিলেনিয়াম পেট্রোল পাম্পের পাশে বায়োজিত স্টোন ক্রাশার মিল থেকে সাড়ে ৩৭ কেবি ৩টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়। ২১ ডিসেম্বর পাড়ুয়া আল রাজি স্টোন ক্রাশার মিলের ২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এ ঘটনায় মিলের মালিক বাদি হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ১৭ ডিসেম্বর শিবনগর গাছঘর গ্রামের ১০ কেবি একটি ট্রান্সফার চুরি হয়। ৯ ডিসেম্বর কালাইগর থেকে ৫ কেবি একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এভাবে গত প্রায় ২ মাসে ২০টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এদিকে গত ২২ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাবাড়ী গ্রামে ১১টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানাজার মৃণাল কান্তি চৌধুরী জানান, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে আমি কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। পুলিশ চোর ধরতেছে এবং অভিযানও দিচ্ছে। তার পরেও চুরি থামানো যাচ্ছে না। প্রশিক্ষিত চোর ছাড়া এভাবে সাধারণ কেউ চুরি করতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, চুরি বন্ধে গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে। সামাজিক সচেতনতা ছাড়া চুরি বন্ধ করা যাবে না।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, চুরির বিষয়ে আমরা নিয়মিত অভিযান দিচ্ছি এবং অনেককে ধরেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।