দায়িত্ব বদলালেও আওয়ামী লীগেই থাকবো – ওবায়দুল কাদের

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব বদলালেও আওয়ামী লীগেই থাকবেন এবং দলের জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনে সাফলতা আছে, ভুল ত্রæটিও আছে এবং এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেবেন বলেও তিনি জানান।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা জানান। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দলের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব পালনে নিজের সফলতা-ব্যর্থতার মূল্যায়ন সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজ করতে গেলে, আই্য আম নট প্যারফেক্ট লিডার এবং আমি মনে করি ভুল ত্রæটি তো থাকবেই। সাফল্য আছে, ভুল ত্রæটিও আছে। তবে, প্যান্ডামিকের জন্য আমরা একটা বছর কাজ করতে পরিনি। এর ভেতরও সহকর্মীরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন, কাজ করেছেন। আমরা নিস্ক্রীয় ছিলাম না। আমি মনে করি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী উদযাপন আমাদের সব চেয়ে বড় সাফল্য। উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে অনেকদিন পর সবচেয়ে বেশি সম্মেলন হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রুলিং পার্টি, একাধারে ১৪ বছর ক্ষমতায়। রুলিং পার্টির কিছু সমস্যা থাকে। আজ কেউ আছেন, তিনি আবারও থাকতে চাইবেন। আবার নতুন কারো আকাক্সক্ষা থাকতে পারে। অনেক সময় দুই আকাক্সক্ষার মধ্যে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়, সেটাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া থাকে। এই বিষয়টা পৃথিবীর সব দেশেই আছে, আমাদের এখানেও আছে। এসব আছে, ছোট সমস্যা আছে। মূল্যায়ন, কাজ করতে গেলে ভুর ত্রæটি হবেই। আই এম নট পার্ফেক্ট লিডার। আমি মনে করি একেবারে পারফেক্ট হওয়া খুবই অসম্ভব। ভুলত্রæটি তো থাকবেই। সাফল্য আছে, ভু ত্রæটিও আছে। তবে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষাও নেব, যেখানে ভুল আছে আমরা সম্মিলিতভাবে আগামীতে চেষ্টাও করব। কে, কোন দায়িত্বে সেটা ব্যাপার না। দায়িত্ব বদলালেও তো আমরা এই দলেই আছি। দলের কাজই করব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ তার স্বকীয় ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রতি তরুণ, নারীদের আকর্ষণ আগের চেয়েও বেড়েছে। আগে আমার এলাকায় দশজন নারীকে পাবলিক মিটিংয়ে দেখিনি, এখন শত শত জনকে দেখা যায়। এটা সারা বাংলাদেশে। তরুণদের এখন স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে, তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে।
তিনি জানান, সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতার শুরুতে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন সাধারণ সম্পদাক ওবায়দুল কাদের এবং ৭৮টি সাংগঠনিকের জেলার নেতারা জেলার পতাকা উত্তোলন করবেন। এরপর বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। তারপর শুরু হবে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের কাজ। প্রথম অধিবেশন শেষে দুপুরের পর দ্বিতীয় অর্থাৎ কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ড. আবুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোাজম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীর জামান কল্পনা, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।