কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়ার একটা রেওয়াজ আছে। প্রতিবারই এমনটি করা হয়। এবারও দাওয়াত দেওয়াটা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির পক্ষ থেকে সম্মেলনস্থলে পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে এ সম্মেলন।
জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, এমন প্রশ্নে নানক বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের আমন্ত্রণ জানানোটাই স্বাভাবিক বলে মনে হয়। আমরা প্রতিবারই তাদের আমন্ত্রণ জানাই।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনায় সম্মেলন সাদামাটাভাবে হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর এই সদস্য।
তিনি বলেন, গতবার দুই দিনব্যাপী সম্মেলন হলেও এবার কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য একদিনেই হবে। বিগত সম্মেলনগুলোতে ঢাকায় সাজসজ্জা করলেও এবার কোথাও সাজসজ্জা হবে না। তবে সাদামাটা করা হলেও লাখো লাখো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, কাউন্সিলর, ডেলিগেট আসবেন। তাদের উচ্ছ¡াসের কোনো ঘাটতি থাকবে না। আনন্দ-উচ্ছ¡াস থাকবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের লক্ষে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন হবে অত্যন্ত অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা কাউন্সিলের সব আয়োজন শেষ করছি। এরই মধ্যে মঞ্চ ও প্যান্ডেলসহ আনুষঙ্গিক সব কিছু তৈরি করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আয়োজন শেষ করতে পারবো।
২২তম জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এটা একটা বিশাল মিলনমেলায় পরিণত হবে। এই মিলনমেলায় সারাদেশের তরুণ-প্রবীণ নেতাকর্মী যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে সারাজীবন কাজ করেছেন, তাদের অংশগ্রহণ একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় এবং নীতিনির্ধারণীমূলক সিদ্ধান্ত আসবে। যেটা কাউন্সিলের ডেলিগেটসহ নেতাকর্মীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পৌঁছে দেবেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, এই সম্মেলন আমাদের একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। যদিও সাদামাটাভাবে এবারের সম্মেলন করার নির্দেশনা রয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব আসবে সেই নেতৃত্বের অধীনেই ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে মধ্য দিয়ে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারে মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে তার যে নতুন স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তেলার, সেই প্রত্যয় থাকবে।
মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির আহŸায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়োর হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, হুমায়ুন কবিরসহ আরও অনেকে।