কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রায়ই চুরি হচ্ছে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। এসব ঘটনায় চোরের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করলেও এদের ধরছে না পুলিশ। ফলে কমছে না চুরির ঘটনা।
এলাকাবাসী চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদের ঘটনাও ঘটেছে। আবার অনেকে চোর চিহ্নিত করতে পারলেও থানা পুলিশ না করে সালিশ বিচারের মাধ্যমে সমাধান করে ফেলছেন। অনেক এলাকার বাসিন্দারা চোরের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগিরা বলছেন- পুলিশের জোরালো ভুমিকা না থাকায় কোম্পানীগঞ্জে বন্ধ হচ্ছে না চুরি।
জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার কালাইরাগ গ্রাম থেকে একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এর আগের রাতে বালুচর গ্রামে জনতার হাতে আটক হয় এক চোর। একই রাতে উপজেলার নারাইনপুর গ্রামে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা করে চোরেরা। এ সময় তারা বিদ্যুতের খুটিতে উঠে ট্রান্সফার চুরির চেষ্টা চালায়। কিন্তু রাস্তা দিয়ে লোকজনের চলাফেরা থাকায় বিদ্যুতের খুঁটির ছিদ্রে রড আটকানো রেখেই পালিয়ে যায়।
এর আগে উপজেলার বুধবারি বাজার, শিমুলতলা নয়াগাঁও, রাধানগর থেকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি হয়। ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ছাড়াও কলাবাড়ি শুভেচ্ছা স্টোন ক্রাশারসহ বেশ কয়েকটি ক্রাশার মিলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন দোকানপাট ও ব্যবসা-প্রষ্ঠানের চুরির সিসিটিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে।
এদিকে, গত ২৭ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানাজার বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চোরদের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও এখনো কাউকে ধরতে পারেনি থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি প্রভাস কুমার সিংহ জানান, আসামিরা এখনো ধরা পড়েনি। কিন্তু তাদের ধরার জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। গত ৮ ডিসেম্বর রাতে একজন চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। এর আলোকে কাজ করছে পুলিশ। তিনি বলেন, তবে ট্রান্সফরমার চুরি এক্সপার্ট লোক ছাড়া সম্ভব নয়।