স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায় এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের ৩ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ৩ জনই মহানগর পুলিশে (এসএমপি) কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস জানান, বরখাস্তকৃত ৩ পুলিশ সদস্য হলেন, মো. ঝুনু হোসেন জয়, ইমরান মিয়াও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এরা এসএমপির পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের পুত্র সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)। তিনি গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আসাদ। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুর সাথে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ৩ পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন। তারা তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তখন সাইফুর রহমান আসাদ এর প্রতিবাদ করেন। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কমঅরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ওই কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের স্মারক এসএমপি-১৬০ /এডিসি (ফোর্স)। তদন্তে ৩ কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এর পরই তাদের ৩ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সুদীপ দাস বলেন, পুলিশ লাইনের এডিসির তদন্তে এ ৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এখন তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।