স্পোর্টস ডেস্ক :
এবারের বিশ্বকাপে যেন চমকের শেষ নেই। সৌদি আরব, ইরান, জাপানের মত মাঝারি সারির দল বিশ্বকাপে বড় দলগুলোর জন্য অভিশাপ হয়ে এসেছে। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালো ইকুয়েডরও। শক্তিশালি ডাচদের ১-১ গোলের ব্যবধানে রুখে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল করলো লাতিন আমেরিকার এই দলটি। নেদারল্যান্ডসের হয়ে গাকপো এবং ইকুয়েডরের হয়ে গোল করেন এনার ভ্যালেন্সিয়া।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ করে গোল তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস। গাকপোর ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বা পায়ের শট খুঁজে পায় গোলের ঠিকানা। মাত্র ৬ মিনিটে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এবারের টুর্নামেন্টে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত গতির গোল। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছিল লাতিন আমেরিকার দলের বিপক্ষে যেখানে মাত্র দুই বার হারের মুখ দেখেছে ডাচরা।
গ্রুপ পর্বে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকা ডাচরা মাঝমাঠের দখল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ইকুয়েডরের রক্ষণভাগে আঘাত হানার চেষ্টা করে। কিন্তু বারবারই ইকুয়েডরের রক্ষণভাবে বল বাধা পেয়ে ফিরে আসে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে আগের ম্যাচের জোড়া গোল করা ভ্যালেন্সিয়ার শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক নোপার্ট। প্রথমার্ধ শেষের ১ মিনিটে আগে ইকুয়েডরের অ্যাস্তোপিনান গোল করলেও সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হলে ১-০ গোলে ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় নেদারল্যান্ডস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যেন ডাচদের চেপে ধরে ইকুয়েডর। ৪৯ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল আদায় করে নেয় ইকুয়েডর। আবারো দলের হয়ে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। ডান পাশ থেকে অ্যাস্তোপিনানের বুলেট গতির শট ডাচ গোলরক্ষক রুখে দিলেও রিবাউন্ডে গোল করে দলকে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরান এনার ভ্যালেন্সিয়া। কাতার বিশ্বকাপে তার গোল সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে।
গোল দিয়ে যেন আরো উজ্জ্বীবিত হয়ে খেলতে থাকে ইকুয়েডর। ৫৯ মিনিটে ভাগ্য দেবতা যেন মুখ ফিরিয়ে নেয় ইকুয়েডরের থেকে। প্রিসাইডোর দূর পাল্লার শট গোলবারে লেগে ফিরে আসলে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় এই লাতিন দলটি। বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ানদের বিপক্ষে ৭ বারের মোকাবেলায় মাত্র ২ বার জয়ের দেখা পাওয়া ইকুয়েডর, ৬৪ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ তৈরি করে। ডান পাশ থেকে ভ্যালেন্সিয়ার বাড়ানো ক্রসে প্লাটা ঠিক সেভাবে গোলমুখে শট নিতে পারেননি।
ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছু সময় ইকুয়েডরের জন্য দুঃসংবাদ হয়ে আসে ভ্যালেন্সিয়ার ইনজুরি। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় এই ইকুয়েডেরিয়ানকে। শেষ দিকে ডাচরা গোলের চেষ্টা করলেও ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদেরকে। এই ড্রতে দুই দলেরই সমান ৪ পয়েন্ট হলো এবং বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল স্বাগতিক কাতার।