সিলেটে ভ্রাম্যমান গবেষণাগার নিয়ে কৃষকের দ্বারপ্রান্তে মাটির গবেষক

6

মাটির প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপাদান নিশ্চিত করে দেশের কৃষি উৎপাদনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেট বিভাগে কাজ শুরু করেছে। মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। এর মাধ্যমে কোন ফসল কোন মাটিতে উৎপাদন বেশি হবে তা নিরুপন করার কাজ সহজতর হবে। এ কার্যক্রমের আওতায় ইতিমধ্যে সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় মাটি পরীক্ষা ও কৃষকদের মধ্যে সুপারিশ কার্ড প্রদান শেষ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্বরপুর উপজেলায় ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগারে কৃষকদের কাছ থেকে মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে এবং আগামী ২৯ ও ৩০ নভেম্বর হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও ১ – ৪ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সদরে অনুরুপ মাটি পরীক্ষা শেষে কৃষকদের মধ্যে সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হবে।
সূত্রমতে, অধিকাংশ কৃষক ফসল অনুযায়ী জমিতে প্রয়োজনীয় মাত্রায় সার ব্যবহার করছেন কিন্তু মাটি পরীক্ষার বেশকিছু সারের অপব্যবহার ধরা পড়ছে। এতে করে যেমন মাটির স্বাস্থ্যের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। বাস্তবে এ অঞ্চলের কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগারে সুযোগ রয়েছে মাটি পরীক্ষার। তাই এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না কৃষকরা। কৃষকের মাটি সংগ্রহ করে মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এবং উৎপাদিত ফসলের মান ভাল হবে। কৃষকের মাঝে মাটি পরীক্ষার উৎসাহ বাড়াতে এ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্দেশনা মোতাবেক জমিতে সার, কীটনাশক, পানি ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করলে উৎপাদন খরচও কমে আসবে।
এছাড়া মাটি পরীক্ষা করে জমিতে পরিমাণমত সুষম সার প্রয়োগ করলে জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। উৎপাদন খরচ কমের পাশাপাশি ফলন বাড়বে। এছাড়া দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটাতে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে এ ধরনের সেবা গুরুত্ব ভূমিকা পালন করবে।
চলিত রবি ২২ মৌসুমে মাটি পরীক্ষা শেষে বিভাগের ৪ টি উপজেলায় ৫০ জন করে কৃষকের মাঝে সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হবে।
মাটি পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সিলেট বিভাগীয় গবেষণাগারের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কমকর্তা ড.তপন কুমার সাহাসহ মৃত্তিকা গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুনফিক আহমদ চৌধুরী আলাপকালে জানান, কৃষক সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগারে রবি মৌসুমে মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে জমিতে প্রয়োজনীয় উপাদান রক্ষাসহ উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব। জমিতে পরিমাণমত সুষম সার প্রয়োগ করলে জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এতে উৎপাদন খরচ কমের পাশাপাশি ফলন বাড়বে। এছাড়া দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটাতে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এ ধরনের সেবা গুরুত্ব ভূমিকা পালন করবে। বিজ্ঞপ্তি