স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- নগরীর বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা মিশু ও গোয়াইপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনা। এরা দুজন কামাল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৪ ও ৬ নাম্বার আসামি।
গতকাল বৃহস্পতিবার র্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি আফসান আল আলম জানান, বুধবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালি বাজারের একটি বাড়ি থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে মঙ্গলবার রাতে এই হত্যা মামলার আরেক আসামি কুটি মিয়াকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত রবিবার রাতে নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন আ ফ ম কামাল। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে কামাল খুন হয়েছেন। হত্যাকান্ডের প্রায় ৪৯ ঘন্টা পর মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই মইনুল হক বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বিশ্বনাথের লামাকাজি এলাকার আজিজুর রহমান সম্রাট, একই এলাকার মো. হাফিজ, আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার শাকিল আহমদ, বাদাম বাগিচা এলাকার মিশু, গুয়াইপাড়া এলাকার কুটি, একই এলাকার মনা, বিশ্বনাথের আব্দুল আহাদ, খাদিম দাসপাড়ার মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, সদর উপজেলার রায়েরগাওয়ের আশরাফ সিদ্দকী ও লালারগাওয়ের রুহুল আমিন শাওন।
মামলার এজাহারে মইনুল হক অভিযোগ করেন, আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে তাদের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের ‘লহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস’ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ অক্টোবার আসামিরা এসে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। এখবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের ভাংচুর চালাতে নিষেধ করেন।
মইনুল হক এজাহারে লেখেন- এসময় দুপক্ষের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। আসামিরা সেদিন প্রকাশ্যে আমার ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরজেরে ধরে ৬ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে আমার ভাই প্রাইভেটকারে বালুচরে নিজ বাসায় যাওয়ার সময় বড়বাজার এলাকায় ৪/৫ টি মোটরসাইকেল যোগে আসামিরা পিছু নেয়। এ সময় তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে।