হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের সময় শিক্ষকদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এই সময় শিক্ষকদের একটি অংশ শিক্ষা অফিসারের ‘বদলি চাই বলে’ শ্লোগান দেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ১ এপ্রিল উপজেলার ১০২ জন প্রাথমিক শিক্ষকদের পক্ষে পৌরসভার মিজাজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিউটন চক্রবর্তী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে লোন ফরমে স্বাক্ষর আনতে গিয়ে গালিগালজ, ইংরেজি প্রশিক্ষণে নিজের পছন্দের শিক্ষকের নাম প্রেরণ, বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ রেখে নিজের পছন্দের কয়েকজন শিক্ষককে অফিসে এনে প্রতিনিয়ত বসিয়ে রাখাসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে সুস্পর্কের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন শিক্ষককে হয়রানি করার অভিযোগ এনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মারুফ আহমেদ চৌধুরী।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্তের শুনানি শুরু হয়। শুনানিকালে সাক্ষ্য গ্রহণের সময় শিক্ষকদের দুই গ্রুপের দুই শতাধিক শিক্ষক বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তুমুল হাতাহাতিতে লিপ্ত হন তারা।
সময় হট্টগোল শুনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমীসহ কর্মকর্তারা এসে শিক্ষকদের শান্ত করেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান- কয়েকজন শিক্ষক নিয়ম বহির্ভুত ভাবে সুবিধা নিতে না পারায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা লিখিত ভাবে আমাকে জানিয়েছেন সাক্ষ্য প্রমান সহ উপস্থিত থাকতে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান অবস্থায় হঠাৎ এই হট্টগোল শুরু হয়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান বলেন -আজকে যে তদন্ত হবে এ বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের জানাননি, হট্টগোল শুনে আমি ও ইউএনও মহোদয় দৌড়ে নিচে গিয়ে তাদের শান্ত করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমী জানান- হট্টগোল শুনে নিচে গিয়ে তদন্তের বিষয়টি নজরে আসে আমার। এর আগে তদন্তের বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের জানাননি। আমি নীচে গিয়ে তদন্তে সংশ্লিষ্ট ছাড়া যে শিক্ষকরা ছিলেন উনাদের বিদ্যালয়ে ফেরত পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।