কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করসেবা মাস। এ সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যাবে করসেবা। আগামীকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে করসেবা মাসের শুভ উদ্বোধন করবেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এবারও আয়কর মেলা হচ্ছে না। তবে সব কর অঞ্চলে বিগত বছরের মতো মেলার পরিবেশে নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন গ্রহণের জন্য সেবা প্রদান করা হবে।
রিটার্ন জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর
আগামী ৩০ নভেম্বর ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার শেষ তারিখ। এ সময়ের মধ্যে করদাতাদের ২০২২-২৩ করবর্ষে ২০২১-২২ আয়বর্ষের হিসাব জমা দিতে হবে। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে। চলতি কর বছরের আগে যারা টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) নিয়েছেন, কিন্তু কোনও কারণে রিটার্ন দেননি, তারাও জরিমানা ছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে রিটার্ন দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে চলতি বছরের রিটার্ন সর্বজনীন পদ্ধতিতে এবং অন্য বছরগুলো সাধারণ পদ্ধতিতে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
গত বছরে ৭৫ লাখের বেশি টিআইএনধারী করদাতার মধ্যে ২৬ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এ বছর ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু আছে। যাদের মোট পরিসম্পদ ৪০ লাখ টাকার নিচে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তারা এক পাতার ফরম পূরণ করে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
৩০ নভেম্বরের মধ্যে যারা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না, তারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ফরমে সময় বাড়ানোর জন্য যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ আরোপ হবে। এ ক্ষেত্রে উপ-কর কমিশনার দুই মাস এবং পরবর্তী সময়ে যুগ্ম বা অতিরিক্ত কর কমিশনার আরও দুই মাস সময় মঞ্জুর করতে পারবেন।
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার ক্ষেত্রে পুরুষ করদাতার বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা, মহিলা অথবা ৬৫ বছরের বেশি পুরুষ করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে ৩ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে ৪ লাখ টাকা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করমুক্ত। আবার কোনও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা–মাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনও একজন এ সুবিধা পাবেন।
আয় নির্ধারিত সীমার নিচে থাকলে করদাতাকে শুধু আয়কর রিটার্ন দিতে হবে, কোনও কর দিতে হবে না। বার্ষিক আয় নির্ধারিত করসীমা অতিক্রম করলেই শুধু আয়কর দিতে হবে। অর্থাৎ করসীমার ওপর ১ টাকার বেশি আয় থাকলেও তাকে ন্যূনতম আয়কর দিতে হবে।