সাংবাদিক রশিদ হেলালী’র ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

4

আজ সোমবার (৩১ অক্টোবরের) সিলেটের সাংবাদিকতার জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী মোহাম্মদ রশিদ হেলালী’র ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আজ সোমবার মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করে জৈন্তাপুরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে রশিদ হেলালীর সম্পাদনায় সাপ্তাহিক জৈন্তা বার্তার যাত্রা শুরু। তার পর ১৯৯১ সালে বৃহত্তর সিলেটের গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে জৈন্তা বার্তা দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়। রশিদ হেলালীর সম্পাদনায় ১৯৯১ সালে ঢাকা থেকে জাতীয় সাপ্তাহিক স্বাধীন বাংলা নামে পত্রিকা বের হয় যাহা ১৯৯৩ সালে জাতীয় দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হয়।
মোহাম্মদ রশিদ হেলালীকে জৈন্তিয়ায় শিক্ষা বিপ্লবের অগ্রদূত বলা হয়। পিছিয়ে থাকা অনগ্রসর শিক্ষা বঞ্চিত জৈন্তিয়ায় অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে জৈন্তায় শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
শিক্ষানুরাগী রশিদ হেলালীর একক প্রচেষ্ঠায় ১৯৯৫ সালে তাঁর পৈত্রিক মালিকানাধীন জায়গায় তাঁর পিতা তৈয়ব আলীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন তৈয়ব আলী জেনারেল ও কারিগরি কলেজ। পরবর্তীতে এ প্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। যেগুলো হলো জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রি কলেজ, জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী কারিগরি কলেজ ও তৈয়ব আলী কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট।
এছাড়াও তিনি জৈন্তাপুরে ব্রিগেডিয়ার মজুমদার বিদ্যানিকেতন, আমিনা-হেলালী টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, জহুরা উম্মে হেলালী টেকনিক্যল কলেজ ও কানাইঘাটে হারিস চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গড়তে গিয়ে তিনি দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সারাদেশে কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন।
বৃহত্তর জৈন্তিয়ার অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য ১৯৯২-১৯৯৩ সালে জৈন্তিয়া জেলা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে জৈন্তিয়া জেলা বাস্তবায়ন আন্দোলন শুরু করেন, জেলা বাস্তবায়ন আন্দোলন করতে গিয়ে উনাকে কারাবরণও করতে হয়েছিল। জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের বন্দরহাটি গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক মোহাম্মদ রশিদ হেলালী ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকাস্থ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। বিজ্ঞপ্তি