কাজিরবাজার ডেস্ক :
২০২০ সালের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়েছিল দেশের রিজার্ভ। এরপর থেকে তা ওঠানামার মধ্যে থাকলেও নিচে নামেনি।
কিন্তু এই প্রথম দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। রেকর্ড আমদানি দায় ও বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য প্রায় প্রতিদিনই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। মঙ্গলবার এর পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে অর্থাৎ গত বছরের ১৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করার কারণে গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ কমেছে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে আমদানি ব্যয় প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৬৯ কোটি (১২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন) ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। আর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে রফতানি আয় ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলারে। একই সময়ে প্রবাসী আয় মাত্র ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৬৭ কোটি ডলার। প্রথম দুই মাসে রফতানি ও রেমিট্যান্স বাড়লেও সেপ্টেম্বরে কমেছে।
চলতি মাসেও দেশের রেমিট্যান্স-প্রবাহে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাসের প্রথম ১৩ দিনে (১ থেকে ১৩ অক্টোবর) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৭ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বড় অংকের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।