কানাইঘাটের কায়স্থগ্রাম সুরমা নদীর চরে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন, নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দাখিল

33

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
এলাকাবাসীর বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে কানাইঘাট দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের সুরমা নদীর কায়স্থগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ চর হতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। গত ১৬ অক্টোবর এলাকাবাসীর পক্ষে শামীম আহমদ, কামাল, জিলহজ, আমিন গংরা বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এ অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করেছেন, স্থানীয় কায়স্থগ্রামের প্রভাবশালী তজম্মুল আলী দরবারি, বাদশা মিয়া, বশির আহমদ, সাবেক মেম্বার রশিদ, কুদরত উল্লাহ সহ তাদের সহযোগিরা প্রায় দুই মাস থেকে কায়স্থগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ চর থেকে প্রতিদিন গভীর রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ড্রেজার মেশিন দিয়ে কয়েকটি বলগেট দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা বেপরোয়া হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কায়স্থগ্রাম সবজিগ্রাম সমিতির ফসলী মাঠ সহ আশপাশের কৃষকদের ফসলি জমি সুরমা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সবজিগ্রামের পানি সেচের কাজে বরাদ্দকৃত সরকারি কোটি টাকার সেচ পাইচের ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এমনকি সবজিগ্রাম সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বার বার এলাকাবাসী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানানোর পরও মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য লোক দেখানো অভিযান করলেও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাত ১১টার পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রতিদিন বালু উত্তোলন করা হচ্ছে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সহ অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন, বলগেট সহ যন্ত্রপাতি জব্দ করে বিহীত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গত বুধবার কানাইঘাট সদর ইউপির তহশীলদার শামসুল আলম সরেজমিনে অবৈধ বালু উত্তোলনের স্থান কায়স্থগ্রাম এলাকায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এ সময় তিনি অনেকের বক্তব্য শোনেন। তবে তহশীলদার যাওয়ার আগেই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা সেখান থেকে ড্রেজার, বলগেট সরিয়ে নেয় এবং রাত সাড়ে ১০টার পর পুণরায় বালু উত্তোলন করে।
দরখাস্তে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত কায়স্থগ্রাম সবজিগ্রাম সমিতির সভাপতি তজম্মুল আলী দরবারি সাথে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বালু উত্তোলন হচ্ছে। তবে আমি বালু উত্তোলনের জড়িত নই। নদীর অপর পার থেকে বালু তোলা হচ্ছে।