বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, স্বৈরাচারের গুলির আঘাতে হয়তো আমাদের শোকের মিছিল আরও দীর্ঘ হতে পারে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা ভয় পায় না। আপনারা গুলি করেন আর ভাবছেন যে, আমরা ভয় পেয়ে গেছি। ভয়ের দিন চলে গেছে। আর কোনো ধরনের হুমকি, গুলি করে জনগণকে ভয়ের রাজত্বের মধ্যে রাখতে পারবেন না। ভয়ের রাজত্ব শেষ হয়ে গেছে। আপনারা মনে করেছেন আমরা নিশ্চুপ থাকবো? আপনারা (আওয়ামী লীগ) হুমকি দেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাধা দেন হামলা করেন গ্রেফতার করেন, গুলি করে হত্যা করেন। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের নিরন্তন সংগ্রাম চলবে। আর কতদিন নিশ্চুপ থাকবো? এবার পাল্টা আক্রমণের সময় এসে গেছে। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে তারা প্রত্যাঘাত করবে সেই সময় এসে গেছে। তারা এখন প্রতিটি অন্যায় অবিচারের প্রত্যাঘাত করবে, এ ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিববাদের বিরুদ্ধে শপথ নিয়ে নামবে। জনগণ মাঠে নামলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খোঁজে পাবেন না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকির সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ দেশে জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষের সকল অধিকার খাঁচার মধ্যে বন্দি করে রেখেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আওয়ামীলীগের দিন শেষ হয়ে গেছে।
এ সময় সিলেট মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বদরুজ্জামান সেলিম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, হাবিবুর রহমান হাবিব, সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মিসবাহ্ উদ্দিন,নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, সদস্যবৃন্দের মধ্যে আমির হোসেন,সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, শামীম মজুমদার, সৈয়দ সাফেক মাহবুব।
সিলেট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এডভোকেট আশিক উদ্দিন, শামীম আহমদ, হাজী মো শাহাবুদ্দিন, আবুল কাশেম, এ কে এম তারেক কালাম, কামরুল হাসান শাহীন, কোহিনূর আহমদ, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, শাকিল মুর্শেদ, আফছর খান, মিফতাউল কবির মিফতা, আব্দুস সামাদ, এডভোকেট আবু তাহের, এডভোকেট সাইদ আহমেদ, আব্দুর রহমান, মাহবুব আলম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আব্দুল আহাদ শামীম, লোকমান আহমদ, মনিরুল ইসলাম তুরন, বাদশা আহমদ, জাহেদ আহমদ, আকবর আলী, আল মামুন, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, শামছুর রহমান শামীম, আলতাফ হোসেন সুমন, দেলওয়ার হোসেন দিনার, পলিনা রহমান।
সিলেট মহানগরের ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তারেক আহমদ, ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল খায়ের, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়দুদ মিলন, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুস সবুর, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম সায়েম, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমদ, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল খান, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল হক, ৭ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল হক রাজু প্রমুখ।