স্পোর্টস ডেস্ক :
এই ম্যাচে নিশ্চিত ভাবেই ফেভারিট তকমা নিয়েই মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। সদ্যই এশিয়া কাপ জেতা দলটি বোলিংয়ে নিজেদের কাজটাও সেরে রাখলো।
১৬৩ রানে বেঁধে রাখলো নামিবিয়াকে। তবে ব্যাটিংয়ে দেখা গেল শ্রীলঙ্কার হতশ্রী চেহারা। নামিবিয়ার বোলারদের সামনে দাড়াতেই পারলো না লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ১৯ ওভারে ১০৮ রানেই গুটিয়ে গেল তাদের ইনিংস। রূপকথার জয় দিয়ে আসর শুরু করলো নামিবিয়া।
নামিবিয়া খেলেছিল, কিছু না হারানোর চিন্তা নিয়েই। ভয়ডরহীন ক্রিকেট উপহার দিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল তারা। গত বিশ্বকাপেও একই গ্রুপে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা-নামিবিয়া। আইসিসির সহযোগী আফ্রিকান দেশটিকে ৯৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে লঙ্কানরা জিতেছিল ৭ উইকেটে। সেই হারের প্রতিশোধই নিল নামিবিয়া। ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর নামিবিয়ান বোলারদের সামনে স্রেফ হাঁটু কাঁপতে দেখা গেছে এশিয়া কাপজয়ী লঙ্কানদের।
অন্যদিকে নামিবিয়ার বোলাররা বল করলেন দুর্দান্ত লাইন এবং লেন্থে! লঙ্কান ব্যাটারদের একটি ভালো জুটি গড়ে তোলার সুযোগ দেয়নি তারা। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা দাসুন শানাকা কিংবা ভানুকা রাজাপাকসেকে খুব বেশি এগুতে দেয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ইনফর্ম কুশল মেন্ডিসকে হারায় শ্রীলঙ্কা। ডেভিড উইসের বলে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মেন্ডিস। এরপর চতুর্থ ওভারে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের চাপে ফেলে দেয় নামিবিয়ার পেসার বেন শিকঙ্গো। এলবিডব্লিউ করে হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি করেছিল শিকঙ্গো। তবে থার্ড আম্পায়ার তা নট আউট দেন।
এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে তুলে নেন জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক। এরপরই হারের শঙ্কা জাগে লঙ্কান শিবিরে। এরপর রাজাপাকসেকে ফেরান স্কল্টজ। এরপর একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হাসারাঙ্গা, করুণারত্নেরা। অধিনায়ক শানাকাও দলকে জেতাতে পারেননি। তিনি আউট হন দলীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করে। শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের ইনিংস থামে ১০৮ রানে। নামিবিয়াদের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন ডেভিড উইসে, স্কল্টজ এবং শিকঙ্গো।
এর আগে টসে জিতে বোলিংয়ে নেমে লড়াইয়ের শুরুটা দারুণ করেছিল শানাকার দল। ১৬ রানেই নামিবিয়ার দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে চাপে ফেলে লঙ্কার বোলাররা। তবে স্টিফান বার্ডকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি করেন অধিনায়ক ইরাসমাস। দলীয় ৭৬ রানে ইরাসমাসকে ফেরান ডি সিলভা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদায় নেন স্টিফান বার্ড।
তবে জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক এবং জেজে স্মিট মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। লঙ্কান বোলারদের চার-ছয়ে ভাসিয়েছেন এই দুই ব্যাটার। দলের হয়ে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ফ্রাইলিঙ্ক। এই ইনিংস খেলতে তিনি চারটি চার মেরেছেন। পাশাপাশি স্মিট ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩১ রান করে। লঙ্কানদের মধ্যে দুই উইকেট পেয়েছেন প্রমোদ মধুশান।