বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের বাউয়ারপাড়ে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় সার-বীজ বিতরণ করা হয়।
এ সময় সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট এর সদর উপজেলার শাখার সভাপতি রুমন বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, বাসদ জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা জাহেদ আহমদ, স্থানীয় সংগঠক কামাল আহমদ, নিজাম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সার-বীজ বিতরণকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, এখনো দেশের জনগোষ্ঠীর ৮০ভাগ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে যুক্ত। চরম অবহলোর পরেও জিডিিপর শতকরা ১৪ভাগ আসে কৃষি থেকে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ভুল তথ্য দিয়ে এবং ইউরিয়া সারের যৌক্তিক ব্যবহারের কথা বলে সরকার ১ আগস্ট ২২ থেকে ইউরিয়া সার কেজি প্রতি ৬ টাকা বা ৫০ কেজির বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা অর্থাৎ ৩৮% দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের উভয় যুক্তিই হাস্যকর ও মিথ্যা বানোয়াট। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম এখন কমছে। এপ্রিল মাসে যেখানে ১ টন ইউরিয়া সারের দাম ছিল ৯২৫ মাকিন ডলার, জুন মাসে তা কমে হয়েছে ৬৯২ ডলার। তাছাড়া কৃষক ইউরিয়া বেশি ব্যবহার করে জমির উর্বরতা নষ্ট করছে ফলে যৌক্তিক ব্যবহারের কথা বলছে অথচ কৃষি মন্ত্রণালয় ও সরকার কৃষককে সচেতন করার কোন উদোগই নেয়নি। তাহলে যৌক্তিক ব্যবহার কি দাম বাড়িয়ে করা যাবে? এটা সরকারের ভুলনীতি। কারণ দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সরকার ৫৩% মানুষের খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। সারের দাম বাড়ানোর এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে কৃষি উৎপাদন কমে যাবে এবং আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকীতে পড়বে। ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব অন্যান্য ক্ষেত্রেও পড়বে। এমনিতেই সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে কৃষি ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়েছে। আবার কৃষকরা কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম না পেয়ে উৎপাদিত কৃষি পণ্য রাস্তায় ফেলে দিতে এমনকি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে নতুন করে সার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকের উপর এটি ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ এর সামিল। কৃষক ও ক্ষেতমজুর আজ সর্বগ্রাসী সংকটে জর্জরিত।
বক্তারা, চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, শ্রমজীবীদের জন্য রেশনিং চালুর দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি