ছাতকে রেলওয়ের ভূমি হতে ৫টি ঔষুধি গাছ কেটে উজাড়, বাজার মূল্য ২ লক্ষ টাকা

17

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
সিলেট-ছাতক রেলওয়ে লাইনের গোবিন্দগঞ্জে রেলওয়ের ভূমিতে বেড়ে উঠা ৫টি অর্জুন নামের ঔষুধি গাছগুলো আর রক্ষা করা গেল না। কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে রাতের আঁধারে গাছগুলো কেটে উজাড় করে নিয়েছে রেলওয়ের ভূমি বন্দোবস্ত মালিক। এখান থেকে প্রথম দফায় ৩টি ঔষুধি গাছ কর্তন করেন তিনি।
ছাতক-সিলেট রেলপথের গোবিন্দগঞ্জ রেল গেট এলাকায় সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, আম্বিয়া ও সেলিম বেডিং এর মধ্যখানে রেল সড়কের পাশে মাটিতে পড়ে আছে গাছের ছোট ডাল-পালা ও অর্জুন ফল। জায়গাটুকু রেলওয়ের ৩৯৮/৩ থেকে ৪ এর সীমান্ত পিলার রয়েছে। সড়কের পশ্চিম পাশে কর্তন করা গাছের গুঁড়ায় ফেলে রাখা হয়েছে ভিটবালু। আরেক পাশে পাকা পিলার স্থাপনের জন্য মাটি খনন করে গর্তের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় সচেতন লোকজনরা ভিট বালু সরিয়ে কর্তন করা বিশাল বড় ৫টি গাছের গুঁড়া বের করেন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে কিছু জায়গা লিজ এনেছেন মা মনি স্টোরের পরিচালক শ্যামনগরের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম। তিনি ওই জায়গায় পাকা ঘর নির্মাণ করবেন। পাকা ঘর তৈরির আগে রেলওয়ের কিছু কর্মকরতা-কর্মচারীর সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময় করে রেল সড়কের পাশে বেড়ে উঠা ঔষধি ৫টি বড় অর্জুন গাছ কেটে নেন। কেটে নেয়া গাছগুলো দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের হবে। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে এখানের দুইটি অর্জুন গাছ কেটে নেয়া হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দিনে অবশিষ্ট ৩টি অর্জুন গাছের ডাল-পালা কেটে দেয়া হয়। এর একদিন পর বুধবার রাতের আঁধারে ওই ঔষুধি গাছগুলোর গুঁড়া থেকে কেটে উজাড় করা হয়।
এদিকে, অরক্ষিত ও পরিত্যক্ত গোবিন্দগঞ্জ রেল গেইটম্যান আশরাফুল ইসলাম এখনও বহাল তবিয়তে থেকে রেলের সরকারী জায়গায় ৩টি দোকান কোঠার প্রতি মাসে সাড়ে ৯হাজার টাকা ভাড়া পকেটস্থ করছেন। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ কার্যত কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে সিলেটের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।