স্পোর্টস ডেস্ক :
ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরে ত্রিদেশীয় সিরিজের মিশন শুরু করল বাংলাদেশ দল। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান তুলে পাকিস্তান। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান তুলেছে টাইগাররা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ছয় ওভারের মাথায় হারিয়েছে দুই ওপেনারকে। ১০ রানে মেহেদি হাসান মিরাজ ও ১৪ রানে আউট হন সাব্বির রহামন।তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভালোই খেলছিলেন লিটন-আফিফ। কিন্তু জয়ে ক্ষেত্রে সেটা যথেষ্ট না। ২৬ বলে ৩৫ রানে ফেরেন লিটন। পরে বলেই শূন্যরানে আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন।
এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে অবস্থান করতে পারেননি আফিফ হোসেন। শাহনেওয়াজ ধানি বলে আউট হওয়ার আগে ২৩ বল খেলে করেন ২৫ রান। এদিকে দলনেতা নুরুল হাসান সোহান ৮ বল খেলে করেন ৯ রান।এছাড়া ২ রানে তাসকিন আহমেদ ও শূন্যরানে আউট হন নাসুম আহমেদ। এদিকে ২১ বলে ৪৫ রানে ইয়াসির ও শূন্যরানে হাসান অপরাজিত থাকেন।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশি দলনেতা নুরুল হাসান সোহান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় পাকিস্তানের। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫২ রান। ২৫ বলে ২০ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বাবর।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৪৪ রান। নাসুম আহমেদের করা বলে ব্যক্তিগত ৩১ রানে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন শান মাসুদ।
এরপর একে একে আরও চার ব্যাটার ব্যাট করতে নামলেও সুবিধা করতে পারেননি কেউই। ৬ রানে হায়দার আলি, ১৩ রানে ইফতেখার আহমেদ ও ৪ রানে আউট হন আসিফ আলি। এদিকে ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ান মোহাম্মদ রিজওয়ান ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। মাত্র ৫০ বলে খেলা তার ইনিংসটি সাতটি চার ও একটি চারে সাজানো।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।