আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাউয়া গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গসহ পুলিশ আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাতক থানার উপ-পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে ৫ অক্টোবর ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫শ’ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা (নং-৬) দায়ের করেন।
ছাতক থানায় দায়েরি পুলিশ এসল্ট মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলার জাউয়া কোনাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে কলেজ ছাত্রলীগ জুনেদ, জাউয়া পূর্বহাটি গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে কলেজ ছাত্রলীগ মাহতাব, কোনাপাড়া গ্রামের সানাউল্লার ছেলে মিজান, একই পাড়ার মৃত আবদুল মালেকের ছেলে জসিম, শাহ আলমের ছেলে সুমন, পূর্বহাটির মনির মিয়ার ছেলে আলমগীর, কোনাপাড়ার ছবুর মিয়ার ছেলে নাজিম, পূর্বহাটি ও কোনাপাড়ার মৃত তাহের আলীর ছেলে জুনেদ, ইব্রাহিম আলী, হাসান আহমদ, গোলাম মোক্তাদির, ফয়েজ আহমদ, হেলাল আহমদ, রুবেল আহমদ, সাব্বির, আখতার হোসেন ও মঈন উদ্দিন। ১৫০০ লোককে ওই এসল্ট মামলায় আসামী করা হয়েছে। পুলিশ এসল্ট মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার আতঙ্কে জাউয়ার ঐ দু’পাড়ায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী, ছাতক থানার উপ-পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘটনার সময় থানার ওসিসহ আমরা দোলারবাজার ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামে মার্ডার হয়েছে এই খবর পেয়ে সেখানে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পথে জাউয়াবাজারে সংঘর্ষে হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করি কিন্তু তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৭৫ রাউন্ড শর্টগান কার্তুজের ফাঁকা ফায়ার ও ২২ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজনরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল, কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করেছে। এতে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমানসহ ৭জন পুলিশ আহত হন। এ ঘটনায় ১৮জনের নাম উল্লেখ করে ১৪০০/১৫০০ লোকের বিরুদ্ধে তিনি থানায় মামলা করেছেন।