শাবি থেকে সংবাদদাতা :
তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষায় তিনটি কোর্সের অতিরিক্ত উত্তরপত্রে ‘অসদুপায়’ অবলম্বন করেছে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী এমন একটি অভিযোগ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে জানানো হয়। পরীক্ষার অতিরিক্ত উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীর অসদুপায় অবলম্বনের ওই অভিযোগ তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (২ অক্টোবর) ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি ‘দৈনিক কাজির বাজার’কে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলা বিভাগের পরীক্ষা-সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম আমিন এবং অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হাকিম।
তদন্ত কমিটিতে থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি গোপন চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন কমিটির একাধিক সদস্য। তবে বিষয়টি ‘গোপনীয়’ উল্লেখ করে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
এদিকে, বিভাগের শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি আপনাকে সহযোগিতা করতে পারবো না। দুঃখিত।’
জানা গেছে, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় প্রথম পরীক্ষকের কাছে এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র অসংগতিপূর্ণ মনে হয়। ওই শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত উত্তরপত্র দেখে পরীক্ষকের মনে হয়েছিলো এই খাতা আগে সংগ্রহ করে লিখে নিয়ে এসে যুক্ত করা হয়েছে। পরে তিনি পরীক্ষা কমিটিকে বিষয়টি জানালে প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাচাই করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয় এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়।