স্টাফ রিপোর্টার :
আজ শনিবার ষষ্ঠী পূজা। শ্রী শ্রী দুর্গাদেবীর অকাল বোধন। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে সায়াংকালে কল্পারম্ভ এবং দুর্গার বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হবে। এদিন সকাল থেকে চন্ডিপাঠে মুখরিত থাকবে সকল মণ্ডপ এলাকা। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী এ দুর্গোৎসবের।
এদিকে পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে সিলেটজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মন্ডপ। সিলেটে এবার ৬০৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে সার্বজনীন ৫৫৭টি ও পারিবারিক ৪৯টি পূজার আয়োজন করা হয়েছে। আর প্রতিটি পূজা মন্ডপ কমিটির সেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ডপে মন্ডপে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা সূত্রে জানা গেছে, সার্বজনীন আয়োজনে সিলেটের কোতোয়ালী থানা এলাকায় সার্বজনীন ২৯টি, পারিবারিক ১১টি, জালালাবাদ থানা এলাকায় ১৬টি, পারিবারিক ৪টি, এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ৩৮টি, পারিবারিক ১টি। শাহপরান থানা এলাকায় সার্বজনীন ৩৮টি, পারিবারিক ১টি। মোগলাবাজার থানা এলাকায় ১৫টি। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ১৩টি ও পারিবারিক একটি। গোলাপগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন ৫৬টি ও পারিবারিক ৩টি। বিশ্বনাথ উপজেলায় সার্বজনীন ২৪টি ও পারিবারিক ২টি। ওসমানীনগর উপজেলায় সার্বজনীন পূজা ২৬টি ও পারিবারিক ৮টি। বালাগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন ৩০টি ও পারিবারিক ২টি। কানাইঘাট উপজেলায় সার্বজনীন ৩৫টি। জকিগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন পূজা ৯৯টি। বিয়ানীবাজার উপজেলায় সার্বজনীন পূজা ৩৯টি ও পারিবারিক ১৩টি। জৈন্তাপুর উপজেলায় সার্বজননী ২০টি পারিবারিক ২টি। গোয়াইঘাট উপজেলায় সার্বজনীন পূজা ৩৬টি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন ২৫টি ও পারিবারিক ১টি এবং ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন ৩৭টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মহানগরীর পূজামন্ডপগুলোর মধ্যে আকর্ষণীয় হলো মাছুদীঘিরপারের ত্রিণয়নী, দাঁড়িয়াপাড়ার চৈতালী, সনাতন যুব ফোরাম, লামাবাজার তিন মন্দির, রাজবাড়ী, কাজলশাহ, রামকৃষ্ণ মিশন, বলরাম জিউড় আখড়া, গোপালটিলা, যতরপুর, চালিবন্দর, মাছিমপুর, তোপখানা, গোটাটিকর শিববাড়ি।
হিন্দু পুরাণ মতে দুর্গাপূজার সঠিক সময় হলো বসন্তকাল কিন্তু বিপাকে পড়ে রামচন্দ্র, রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি বসন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে শরতেই দেবীকে অসময়ে জাগ্রত করে পূজা করেন। সেই থেকে অকাল বোধন হওয়া সত্ত্বেও শরত কালে দুর্গাপূজা প্রচলিত হয়ে যায় ।
পুরোহিদের মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার গজে (হাতী) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যালোকে (পৃথিবী) আসেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে কৈলাশে (স্বর্গে) বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে। যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।