সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাউলদের কল্যাণে আন্তরিক। ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধে বাউল শিল্পীদের অবদানও অনস্বীকার্য। সুস্থ ধারার সংস্কৃতিককে ফিরিয়ে আনতে মরমী বাউল সাধকদের গান বেশি বেশি পরিবেশন করতে হবে। কোন ধরনের অশ্লীলতা না করে সুন্দর ও মার্জিত পোষক পরে বাউল সংগীত পরিবেশন করলেই এ গানের জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সম্ভব। অতীতে মরমি গান শুনার জন্য মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে মানুষ গানের আসরে গান শুনতেন। তিনি মরমি সাধকদের কালজয়ী গানগুলো প্রচার ও প্রসার ঘটতে বাউল শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেটের মত অন্যান্য বাউল সংগঠন ও শিল্পীদেরকে কাজ করতে হবে। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সমাজের সকল অসংগতি দূর করে একটি সুন্দর সমাজ নতুন প্রজন্মের কাছে তোলে ধরতে বাউল শিল্পীদের প্রতি আহবান জানান।
শফিকুর রহমান চৌধুরী গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাউল শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেট বাংলাদেশ আয়োজিত মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিলেটের পবিত্র মাটিতে বাউল গানের নামে যেসব অপসংস্কৃতি বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই অপসংস্কৃতি বন্ধে এবং সুস্থ ধারা বাউল গান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাউল শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেট বাংলাদেশর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফকির শাহ তোফাজ্জুল ভান্ডারী’র সভাপতি এবং মহাসচিব ফকির ছয়ফুল আলম জালালী ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাউল শিল্পী মীর আজাদ এর যৌথ পরিচালনায় মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্যাসিফিক ক্লাব অব বাংলাদেশের সভাপতি এডভোকেট হেলাল আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হেলালুল ইসলাম হেলাল, প্রচার সম্পাদক সোহেল আহমদ। উপস্থিত ছিলেন বাউল উদাসী মুজিব, বাউল কানাই লাল সরকার, বাউল পথিক রাজু, বাউল সূর্য লাল, ফিরোজ আহমদ, জালালী পারভেজ, বাউল ভাসানী বারীক, বাউল আজিজ, সুজ্জাদ মিয়া, বাউল ইসমাইল, সৈয়দ আবুল কাশেম সরকার, বাউল সাজি মিয়া আমিরী, বাউল শামসুজ্জামান, মইনুল বংশীবাদক, জাবেদ আলী, জুনেদ আহমদ, সমুজ আলী, মনু মিয়া, শামীমা, মুন্নি আক্তার, আবু বকর, জাহেদ সরকার, সেলিম, শাহজাহান মিয়া, মিয়া হোসেন, ছাদিক, লায়েক, সবুজ মিয়া, চঞ্চল চৌধুরী, মোঃ আলী, মোঃ রিয়াজ, মোঃ সবুজ মিয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি