বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা, সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এক শোক বার্তায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মহান আল্লাহ্পাক তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টা ৪০মিনিটে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত পরিচিত মুখ ও মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে একজন পরিক্ষিত রাজনৈতিক নেতার জীবনাবসান হলো।
তাঁর এই চলে যাওয়া জাতির জন্য এক অপূরনীয় ক্ষতি।
উল্লেখ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি