স্টাফ রিপোর্টার :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের আবারও সংঘাত হচ্ছে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অত্যাচারিত লোকজনকে ওই এলাকা সরে যেতে বলা হয়েছে। ফলে ভয় হয়, অত্যাচারীরা হয়তো আমাদের দেশের দিকে আসতে শুরু করবে। তবে জানতে পারেছি- তারা অন্যদিকে যাচ্ছে। তবুও আমরা আমাদের বর্ডারে সতর্কতামূলক অবস্থা গ্রহণ করেছি। সীমান্ত দিয়ে সেদেশ থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। মিয়ানমারের লোক আমাদের দেশে আসতে না পারে সে জন্য বিজিবিকে সতর্ক করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে চা শ্রমিকদের ভার্চুয়াল মতবিনিময় উপলক্ষ্যে সিলেটের লাক্কাতুরা বাগানে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। সরকার যাথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে ফেরে এসে পড়েছে মিয়ানমারের গোলা। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটলো মিয়ানমার। দ্বিতীয় দফায় গতকাল শনিবার মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকায় পড়ার প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তিনি তাঁর সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করবেন এবং এমন দুর্ঘটনা আগামীতে যাতে না ঘটে বিষয়টি তারা দেখবেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গোলা বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকায় পড়েছে। সেখানে দুটি গোলা অবিস্ফোরিত থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এসব গোলা এসে পড়ে।