কাজিরবাজার ডেস্ক :
পাকিস্তানে প্রলয়ঙ্করী বন্যায় ২৫ শিশুসহ আরও ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এ নিয়ে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২৬৫ জনে দাঁড়াল।
এদের মধ্যে ৪৪১ জনই শিশু।
ত্রাণ তৎপরতার সমন্বয়ের জন্য গঠিত একটি উচ্চ-পর্যায়ের দল শনিবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সভাপতিত্বে বৈঠক করে।
বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত ও হিমবাহ গলিত পানির কারণে চলতি বছর ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। দেশটিতে এই বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ।
শুক্রবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ) জানায়, পাকিস্তানে বন্যায় আরও অনেক শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
সিন্ধু প্রদেশের কৃষক আশরাফ আলী ভানব্রো বলেছেন, আমরা বন্যায় ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছি।
আশরাফ আলী জানান, তার আড়াই হাজার একর জমির তুলা এবং আখ কাটার উপযোগী হলেও বন্যায় এখন সব একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ। সেখানে গত ৩০ বছরের মধ্যে এবার ৪৩৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহের নজিরবিহীন এই বন্যায় দেশটির এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দেশটিতে বন্যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ইতোমধ্যে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এই বন্যায় পাকিস্তানের ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে কোনো জরিপ করেনি।
বন্যার্তদের সহায়তায় পাকিস্তানের জন্য ১৬ কোটি ডলারের সহায়তার আবেদন করেছে জাতিসংঘ।